লিওনেল মেসি পিএসজিতে নাম লিখিয়েছেন সে পুরনো কথা। এবার তার দুই ছেলে মাতেও মেসি ও থিয়াগো মেসিকেও ফরাসি ক্লাবে ভর্তি করালেন তিনি। বাবার মতোই তারাও হাঁটবে ফুটবলের পথে।
থিয়াগো মেসির বয়স এখন ৮ বছর। ২০১২ সালে মেসি-রুকোজ্জো দম্পতির ঘরে আসে সে। মাতেওর জন্ম ২০১৫ সালে। লা’ একুইপে বলছে, থিয়াগোকে লিও মেসি পিএসজির অনূর্ধ্ব-৯ বছরের টিমে এবং মাতেওকে অনূর্ধ্ব-৭ বছরের টিমে ভর্তি করিয়েছেন। ক্লাব ফুটবলের ছুটিতে আর্জেন্টিনা দলের সঙ্গে যোগ দেওয়ার আগেই দুই ছেলেকে ভর্তি করিয়ে গেছেন তিনি। এটা মেসির ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আরেকটা ইঙ্গিত দিচ্ছে, অচিরেই ফ্রান্স ছাড়ছেন তিনি!
৫ আগস্ট শৈশবের ক্লাব বার্সেলোনা ছাড়ার ঘোষণা দেন লিওনেল মেসি। অথচ তার একদিন আগেও এই বিষয়ে কথা বললে মানুষ পাগল বৈ কিছু ভাবতো না বলেই বোধহয়। সেটাই সত্যি হয়ে গেল এক মুহূর্তের ব্যবধানে, আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অশ্রু জড়িত কণ্ঠেই বিদায় জানালেন তিনি। তবে সে সময় জানা যায়নি আর্জেন্টাইন ফুটবলার কোন ক্লাবে যাচ্ছেন। ১০ আগস্ট তিনি ফরাসি ক্লাব পিএসজির সঙ্গে চুক্তি করার কথা জানান। অল্প কিছু সময় ব্যবধানে মেসি প্যারিসে পাড়িও জমান।
আরও পড়ুন: রোনালদো আবার ইতিহাস লিখবেন
তার জন্য পিএসজি বরাদ্দ করে ৩০ নম্বর জার্সি। অবশ্য যিনি এখন পিএসজির ১০ নম্বর জার্সির মালিক সেই নেইমার জুনিয়র মেসিকে ১০ নম্বর জার্সি পরার অনুরোধও করেছিলেন। মেসি নিজেই সেটি নেইমারের গায়ে দেখতে চেয়েছেন, বিপরীতে তিনি নিয়েছেন ৩০ নম্বর, যে জার্সি পরে বার্সেলোনায় শুরুর দিনগুলো কাটিয়েছিলেন তিনি।
ফরাসি লিগে মেসির জন্য একটি নিয়মেরও পরিবর্তন হয়। এতদিন ১, ১৬ আর ৩০ নম্বর জার্সিটা বরাদ্দ ছিল ক্লাবের গোলরক্ষকদের জন্য। নিয়মের বদল এনে লিগ ওয়ান মেসিকে ৩০ নম্বর জার্সি দেওয়ার ব্যবস্থা করে।
২০০০ সালে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়া মেসি ২০০৪ সালে দলটির সিনিয়র পর্যায়ে উন্নীত হন। এরপর থেকে দল ও লিগের অধিকাংশ রেকর্ড তার দখলে যেতে শুরু করে। তিনি এখন লা লিগার ইতিহাসে সর্বোচ গোলদাতা। বার্সেলোনার তো বটেই। লিগে ৫২০ ম্যাচে ৪৭৪ গোল করেছেন তিনি। সব মিলিয়ে বার্সার জার্সিতে তার ৭৭৮ ম্যাচে ৬৭২ গোল।