দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) দন্তহীন বাঘ হলে চলবে না বলে মন্তব্য করেছেন হাইকোর্ট। সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত ইস্যুতে করা রিট শুনানির এক পর্যায়ে আজ আদালত এমন মন্তব্য করেন।
আদালত বলেন, দুদককে কনসার্ন থাকতে হবে সুইস ব্যাংকের জব্দকৃত টাকা ফেরত ইস্যুর বিষয়ে। এ সময় দুদকের আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান আদালতে বলেন, আমরা অবশ্যই কনসার্ন আছি। আমাদের কাছে সব তথ্য আছে। সেগুলো আদালতে উপস্থাপন করতে পারব।
মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের ওপরে আজ হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মহিউদ্দিন শামীমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। পরে রিটের ওপর শুনানি আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেন আদালত।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিনউদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহজাবিন রাব্বানী দীপা ও আন্না খানম কলি। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস।
গত ১ ফেব্রুয়ারি অ্যাডভোকেট আব্দুল কাইয়ুম খান ও সুবীর নন্দী দাস এ রিট দায়ের করেন। রিটে মুসা বিন শমসেরসহ অন্যদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশের বিভিন্ন ব্যাংক বিশেষ করে সুইস ব্যাংকে পাচার হওয়া অর্থ ফিরিয়ে আনার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
রিটে অর্থ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, অ্যাটর্নি জেনারেল, বাণিজ্য সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ সংশ্লিষ্ট ১৫ জনকে বিবাদী করা হয়েছে। আবেদনে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংবাদপত্রে এ বিষয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করা হয়।