1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১২:১১ পূর্বাহ্ন

দুদকের মামলায় দেলোয়ার হোসেন

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৩০ মে, ২০২৪

আবু তাহের বাপ্পা : জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও ভোগ দখলে রাখার অভিযোগে নরসিংদী দেলোয়ার হোসেন ও তার দুই স্ত্রী যথা আইরিন আক্তার ও কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলা করেছেন।
এজাহারে বলা হয়েছে, মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৪২), পিতা: হাজী মোঃ সুরুজ আলী নরসিংদী অবৈধ উপায়ে তার নিজ ও দুই স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সর্বমোট আট কোটি পঁচানবাই লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার নয় শত আশি টাকা মূল্যের অবৈধ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক তা দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। মামলায় আশামি দেলোয়ার পলাতক রয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান, সহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, গাজীপুর।

ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণ এই যে, দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার নথি নং-তদন্ত- ১/১৫৩/২০২১/ঢাকা-২ এবং দুর্নীতি দমন কমিশন, সমন্বিত জেলা কার্যালয়, গাজীপুর এর স্মারক নং- ০০.০১.৩৩০০.৭১০. ০১.০০৬.২২.৪৩, তারিখ-০১.০৮.২০২২ ইঃ. এর প্রেক্ষিতে অনুসন্ধান করা হয়। প্রাথমিক অনুসন্ধানকালে মোঃ দেলোয়ার হোসেন এর নিজ ও তার দুই স্ত্রী যথা আইরিন আক্তার ও কানিজ ফাতেমার নামে জমি ক্রয়, বাড়ি ও স্থাপনা নির্মাণসহ ব্যয় বাবদ ৭ কোটি ৫৪লক্ষ, ১৩,৫৫৩ টাকা মূল্যের স্থাবর সম্পদ এবং গাড়ি ক্রয়, বিভিন্ন ব্যাংকে স্থিতিসহ ব্যবসায় বিনিয়োগ বাবদ ২কোটি,৪৫লক্ষ, ৬৮,২৬০ টাকা মূল্যের অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট (৭,৫৪,১৩,৫৫৩- ২,৪৫,৬৮,১৬০)= ৯কোটি,৯৯লক্ষ,৮১,৮১৩ টাকা মূল্যের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রমাণ পাওয়া যায়। অনুসন্ধানকলে প্রাপ্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন কর্তৃক জমি বিক্রি ও ব্যাংক লোনসহ ২০২১-২০২২ করবর্ষ পর্যন্ত তার গ্রহণযোগ্য আয়ের উৎস পাওয়া যায় ১কোটি,০৭লক্ষ.৪৫,৮৩৩ টাকা এবং কত পাওয়া যায়। ৩ লক্ষ টাকা। ব্যয়সচ তার মোট সম্পদের পরিমান দাঁড়ায় (৯কোটি.৯৯লক্ষ,৮১,৮১৩ ৩.০০.= ১০কোটি.০২লক্ষ.৮১.৮১৩ টাকা এক্ষেত্রে তার মোট অর্জিত সম্পদ হতে বৈধ/গ্রহণযোগ্য আয় বাদ দিলে ১০কোটি.০২লক্ষ.৮১.৮১৩-বাদ দিলে ১.০৭.৪৫.৮৩৩) = ৮কোটি,৯৫লক্ষ.৩৫.৯৮০ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ পাওয়া যায়। ফলে জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন তার নিজ ও দুই স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সর্বমোট ৮কোটি. ৯৫লক্ষ.৩৫.৯৮০/-(আট কোটি পঁচানব্বই লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার নয় শত আশি) টাকা মূল্যের অবৈধ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন অবৈধ উপায়ে তার নিজ ও দুই স্ত্রীর নামে জ্ঞাত আয়ের সাথে অসংগতিপূর্ণ সর্বমোট ৮,৯৫,৩৫,৯৮০/-(আট কোটি পঁচানব্বই লক্ষ পঁয়ত্রিশ হাজার নয় শত আশি) টাকা মূল্যের অবৈধ স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনপূর্বক দখলে রেখে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রমানীত হওয়ায় উক্ত অপরাধের দায়ে জনাব মোঃ দেলোয়ার হোসেন, পিতাঃ হাজী মোঃ সুরুজ আলী, গ্রাম: কাজিরচর (পূর্ব), ডাকষবা চারা বাজার, থানা: পলাশ, জেলা: নরসিংদী এর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৭(১) ধারায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করার জন্য অনুরোধ করা হলো। তদন্তকালে আরো সম্পদের তথ্য পাওয়াসহ অন্য কারো সম্পৃক্ততা পাওয়া গেলে তা আইনামলে আনা হবে।
মামলায় পলাতক থাকিয়া মামলাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য অবৈধ উপায় আয়কর নতি তৈরি করার জন্য দেলোয়ারের গ্রামের আয়কর বিভাগে কর্মরত এক কর্মচারীর নিকট কয়েক কোটি টাকার বিনিময় আয়কর নতি তৈরীর করা হচ্ছে বলে জানা যায়। আয়কর বিভাগের এ কর্মচারীর এ ধরনের কাজে অভিজ্ঞতা রয়েছে তাই কর্মচারীর নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের মালিক তিনি। কর্মচারীর সম্পদের অনুসন্ধান চলছে।
এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক আয়কর কর্মকর্তার জানায় পূর্বে সম্পদের বিপরীতে আয়কর না দেয়া থাকলে উক্ত অবৈধ সম্পদের সংক্রান্তে দুদক মামলা হওয়ার পর আয়কর দেয়ার কোন নিয়ম নাই । এর পরেও কোন ব্যক্তি অন্য কাহারো ভূল পরামর্শে আয়কর রিটান প্রদান করা হলেও তা কখনো গ্রহণযোগ্য হবে না।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি