এ বিষয়ে পরবর্তী কী উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে, তা জানতে চাইলে গভর্নর বলেন, ‘বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্ত শেষ হলে কথা বলব।’ গভর্নর বলেন, ব্যাংক শুধু মুনাফাই করবে না, সুশাসনের চর্চাও অব্যাহত রাখবে, নইলে পুরো খাতটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বিআইবিএমের বার্ষিক ব্যাংকিং সম্মেলনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক শাহ মো. আহসান হাবিব। বৈদেশিক মুদ্রাবাজার যে চাপে রয়েছে, তা উঠে আসে তাঁর প্রবন্ধে। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক আকতারুজ্জামান।
সুদহারের সীমা উঠবে না
সরকারের নির্দেশে ও ব্যবসায়ীদের চাপে ঋণের সুদহারের সীমা সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বর্তমান পরিস্থিতিতে অর্থনীতিবিদদের অনেকেই সুদহারের সীমা তুলে দেওয়া বা বাড়িয়ে দেওয়ার পক্ষে। তবে এ প্রসঙ্গে গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, ‘সুদহারের সীমা তুলে দিলে খরচ বাড়বে উদ্যোক্তাদের। পাশাপাশি ব্যাংকের তহবিল ব্যবস্থাপনা খরচও বৃদ্ধি পাবে। তাই আমরা উদ্যোক্তাদের কম খরচে ঋণ দিতে চাই, যাতে উৎপাদন খরচ কমে আসে।’
ব্যবস্থাপনায় হস্তক্ষেপ করবেন না পরিচালকেরা
ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিতে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনায় পর্ষদের পক্ষ থেকে হস্তক্ষেপ না করার কথা বলেছেন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার। তিনি বলেন, ব্যাংকের পরিচালক ও ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কাজ সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তাঁরা কাজ করবেন। পরিচালকেরা ব্যবস্থাপনার কাজ করবেন না।
দায়িত্ব নেওয়ার পর ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের (এমডি) সঙ্গে বৈঠক করে গভর্নর জানিয়ে দিয়েছেন, কোনো পরিচালক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে অবৈধ হস্তক্ষেপ করলে তাঁকে জানাতে। বাংলাদেশ ব্যাংক ওই এমডিকে সুরক্ষা দেবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।