ফেনী সোনাগাজীর পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন। মেয়র এর ক্ষমতার প্রভাব বিস্তার করে পাঁচ বছরে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক হন। এই বিষয়ে দুদকের অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগের জবাব দিয়েছেন খোকন। দুদকের অভিযোগ তদন্ত চলছে বলে জানা গেছে। এই দিকে আসন্ন পৌরসভা নির্বাচন খোকন আবারও দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করেছেন। গত নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন এর দাখিলকৃত সম্পদ এর হলফ নামায় এই বারের হলফনামার সঙ্গে বিস্তর ফারাক। পাঁচ বছর আগে কৃষিজমি ছিল মাত্র একশত শতক। ২০২১ সালে কৃষিজমির পরিমান দাঁড়িয়েছে ৭৩৯ শতক। স্ত্রীর যৌথ নামে আরো ২০১ শতক। পাঁচ বছর আগে অকৃষিজমি ছিল মাত্র ত্রিশ শতক। ২০২১ সালে এসে দাড়াঁলো ৬৩৯ শতক। স্ত্রীর নামে যৌথ নামে ১৩৯৮ শতক ঢাকার উত্তরার ফ্লাট নামে বেনামে ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা।
সোনাাগাজী একটি উপজেলা, উপজেলার মধ্যে ছোট একটি পৌরসভা। মাত্র পাঁচ বর্গকিলোমিটার এলাকা ৩৩০০০ হাজার জনসংখ্যা। ভোটার মাত্র দশ হাজার। দশ হাজার ভোটার আর তেত্রিশ হাজার নাগরিকের বসবাস সোনাগাজীর পৌরসভায়। এই পৌরসভার একজন মেয়র পাঁচ বছর ক্ষমতায় থেকে একশত ত্রিশ শতক জমির স্থলে প্রায় দুই হাজার শতক জমির মালিক হন। এই পৌরসভার বাজেট বিবরণী ২০১১-১২ অর্থ বছরে বাজেট দেখা যায় দুই কোটি টাকা। ২০১৬ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত মেয়র খোকন এর শাসন আমলের বাজেট পৌরসভার ওয়েবসাইটে নেই। দশ বছরে বাজেট দ্বিগুন হলে বাজেট বিশ কোটি হতে পারে, কিন্তু মেয়র খোকন এর সম্পদ পৌরবাজেট এর চেয়েও বেশি। যেন তুদলকি কান্ড। অভিযোগ রয়েছে পৌরসভার জমির মান ভিন্নতা দেখিয়ে নাল জমিকে জলাভূমি দেখিয়ে বিশাল সম্পত্তি আত্বসাত করে। স্থানীয় সরকার বার্ষিক উন্নয়ন এর কর্মসূচী বরাদ্দের বেশির ভাগ অংশই মেয়র কৌশলে আত্ত্বসাত করে বলে একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলর অভিযোগ করেন। এতসব দূর্নীতি অনিয়ম সহ একাধিক পৌঁজদারী মামলার আসামি থাকা সত্বেও নির্বাচনী হলফনামায় প্রকৃত নামের অমিল থাকলেও মেয়র প্রার্থী হিসেবে খোকনের মননোয়ন বাতিল হয়নি। নামের ইংরেজিতে বানান একবার Adv. Rafiqul Islam (Khokan)। আবার শুধু Rafiqul Islam । আরেক জায়গায় Ad.Rafiqul Islam (Khokan)। তিন প্রকারের নামের ভিন্নতা যাচাইয়ে ইসির কর্মকর্তার নজরে পড়েনি। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনে একজন নাগরিক অভিযোগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সোনাগাজীর মেয়রের অপর্কম নিয়ে স্থানীয় ও জাতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলেও প্রশাসন নীরব । স্থানীয় জনগন ক্ষুদ্ধ হলেও খোকন বাহীনির ভয়ে কেউ মুখ খুলতে রাজি নন। নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক স্থানীয় একজন ক্ষোভের সঙ্গে বলেন এই ভয়ংকর সম্পদ লিপ্সু ব্যাক্তি আবারো প্রার্থী হয়েছেন এই দুঃখ বেদনা যন্ত্রনা কাকে বলি। দলীয় কর্মীরাও খোকন এর উপর খুশি নন। অনেকেই তলে তলে সতন্ত্র প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার চিন্তাভাবনা করছেন।। কিন্তু খোকন দলীয় প্রার্থী হওয়ার কারনে দলীয় কর্মীরা ক্ষুদ্ধ হলেও নীরবে অগ্নির্সমা। তাঁরা যদি সঠিক ভাবে ভোট দিতে পারেন তাহলে খোকন এর পরাজয়ের সম্ভাবনা বেশি। যদিও করোনার কারনে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে । তা না হলে ১০ এপ্রিল নির্বাচন হবার কথা ছিল। এদিকে মেয়র খোকনের বিস্তারিত অভিযোগের কাগজপত্র দৈনিক জাতীয অর্থনীতির কাছে রয়েছে বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন দুদকের অভিযোগ এর জবাব দেওয়া হয়েছ্ েঅন্য সব অভিযোগের কোন সত্যতা নেই। নির্বাচনের প্রভাব বিস্তারের জন্য কত জনে কত ভাবে অভিযোগ করতে পারে। এই সব অভিযোগের দিকে নজর দেবার সময় কই। আমি নির্ববাচনী কাজে ব্যস্ত ধন্যবাদ। একথা বলে ফোন রেখে দেন। দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির তথ্যানুসন্ধানে সোনাগাজীর মেয়রের অপকর্মসহ নানা কাহীনি উঠে এসেছে। এসব বিস্তারিত আকারে আসছে আগামীতে।