মোঃ ফয়েজ উদ্দিন মোল্লা, দেবিদ্বার উপজেলা প্রতিনিধি: দেবিদ্বার পৌরসভার বাসাবাড়ির ময়লা-আবর্জনায় ভরাট হচ্ছে সরকারি হাসপাতালের পশ্চিম পাশের পৌরসভার জলাধার পুকুর।
ময়লা আবর্জনার পচা দুর্গন্ধে এলাকার পরিবেশও বিষিয়ে উঠেছে। ময়লা ফেলায় জলাধার পুকুর ভরাট হয়ে যাওয়ায় পানির গতিপথ বন্ধ হয়ে এলাকার পরিবেশ হুমকির মুখে পড়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আজ সোমবার সকালে উপজেলা সদরের পৌরসভার সরকারি হাসপাতালের পশ্চিম পাশে পৌরসভার জলাধার হিসেবে গণ্য করা হয় কিন্তু বিভিন্ন বাসাবাড়ির পচা ময়লা আবর্জনা ফেলার পরে এক শ্রেনীর কুচক্রি মহল পুকুর ভড়াটে লিপ্ত হয়েছে।
দেবিদ্বার উপজেলা প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মোঃ কাউছার হায়দার এ বিষয়ে বলেন, ময়লা আবর্জনা ফেলে পৌরসভার পুকুর খাল ও ডোবা-নালা ভরাট করার কোন সুযোগ নেই। পরিবেশ রক্ষার জন্য সরকারি নির্দেশনায় খাল খননের উদ্যোগ এবং ডোবা-নালা রক্ষার জন্য পৌরসভাকে উদ্যোগ নিতে হবে।
জানা গেছে, ২০০২ সালে দেবিদ্বার পৌরসভা গঠিত হয়।মামলা জটিলতার কারনে ২০২৩ সালে প্রায় ২১ বছর পর প্রথম নির্বাচন হয় এবং মেয়র নির্বাচিত হয় সাইফুল ইসলাম শামীম কিন্তু এখনো বাড়েনি পৌরবাসীর নাগরিক সুযোগ সুবিধা।পৌরসবার ৮ নং ও ৫ নং ওয়ার্ড এর একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করেন, শহরের ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পয়নিষ্কাশন, গ্যাস সমস্যা, রাস্তা-ঘাট ও ব্রিজ-কালভাটসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত দেবিদ্বার পৌরসভার নয়টি ওয়ার্ড।তার মধ্যে এই জলাধার পুকুর বড়াট করলে আমাদের দুই ওয়ার্ড এর জনগনের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।তাই আমরা চাই পৌরসভা এই জলাধারকে রক্ষার আইনানুগ ব্যাবস্থা নিবে প্রশাসন।
এদিকে মুল সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে পৌরসভার ময়লা আবর্জনা। পৌরসভার নিজস্ব কোন জায়গা না থাকায় ময়লা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে খালসহ আশপাশের বিভিন্ন পুকুর ডোবা-নালায়। ফলে পুকুর খাল ও ডোবা-নালা ভরাট হয়ে একদিকে যেমন পানি প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, তেমনি এলাকার পরিবেশও হুমকির মুখে পড়েছে বলে গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আছে পৌরসভার সরকারি হাসপাতালের পশ্চিম পাশে জলাধার পুরাতন পুকুর যা পৌরসভার ময়লা আবর্জনা ফেলে ভরাট করা হচ্ছে।