যুদ্ধু অপরাধী মানবতাবিরোধী অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত দেলোয়ার হোসেন সাঈদী সোমবার (১৪ আগন্ট) রাত ৮টা ৪০ মিনিটে মৃত্যুবরন করেন।বাংলাদেশর রাজধানী ঢাকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে (বিএসএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
চিকিৎসকরা জানান, সাঈদীকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিলো। আগে থেকেই তার হার্টে পাঁচটি রিং পরানো ছিলো।সোমবার সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটে তার আরেকটি অ্যাটাক হয়।রাত ৮টা ৪০ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথমে মঙ্গলবার পিরোজপুরে সাঈদীর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বুধবার বাদ জোহর বায়তুল মোকাররমে আরেক দফা জানাজা হবে বলে জানা গিয়েছে।
বাংলাদেশের গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে, একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মাওলানা সাঈদীর মৃত্যুর খবর প্রকাশের পরপরই বিপুলসংখ্যক লোক হাসপাতালের সামনে জড়ো হয়। দীর্ঘসময় স্লোগান দিতে থাকে লোকজন । এ সময় হাসপাতালের সবগুলো গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর আগে রোববার বিকেলে কাশিমপুর কারাগারে সাঈদী হার্টে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করলে প্রথমে তাকে কারা হাসপাতাল, তারপর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সবশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে নেওয়া হয়। তার হার্টে পাঁচটি রিং পরানো ছিল।
মাওলানা সাঈদী দেশ-বিদেশে একজন জনপ্রিয় মুফাসসিরে কুরআন ছিলেন। পিরোজপুর-১ আসন থেকে তিনি দু’বার এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সাঈদীর জীবনের যে অধ্যায়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্ক, সেটি মূলত ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং তার পরবর্তী কয়েক বছর।
২০১৩ সালের ২৮শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল তাকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেয়। তবে মৃত্যুদণ্ডের সাজা কমিয়ে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে আপীল বিভাগ দেলোয়ার হোসেন সাঈদীকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেয়।