নতুন প্রজন্মকে দেশের নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত হওয়ার তাগিদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, আজকের শিশুরাই তো প্রধানমন্ত্রী হবে, শিক্ষক হবে। সেভাবেই তারা তৈরি হোক। প্রযুক্তি-বিজ্ঞানের সঙ্গে তালমিলিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা সব সময় গবেষণার ওপর জোর দিয়েছি। কারণ গবেষণাই পারে পথ দেখাতে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বিজয়ী জাতি, বিশ্বের মধ্যে মাথা উঁচু করে চলব। এ দেশ আমাদের। আমরা এ দেশকে উন্নত সমৃদ্ধ হিসেবে গড়ে তুলব।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, ‘দাবায়া রাখতে পারবা না’। আসলেই পারে নাই। পদ্মা সেতুতে যখন অর্থায়ন বন্ধ করে দিলো, আমরা তখনই ঘোষণা দিয়েছিলাম, নিজের অর্থে করব। করে দেখিয়ে দিয়েছি আমরাই পারি।
তিনি বলেন, মেধা অন্বেষণ একটি চমৎকার ব্যবস্থা। এর মধ্য থেকে অনেক সুপ্ত জ্ঞান বেরিয়ে আসবে, যা আমাদের দেশের আগামী দিনের উন্নয়নে কাজে লাগবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাব কিছুটা বেড়েছে। আমরা সবাই যেন স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলি।
তিনি বলেন, করোনার কারণে গত দুই বছর এই পুরস্কার দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে করোনা সংক্রমণ রোধে টিকা দেওয়া হয়েছে। বুস্টার ডোজ দেওয়া হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে যাতে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদেরও করোনার টিকা দেওয়া যায়।
শিক্ষার্থীদের বৃত্তির বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের মায়েদের মোবাইলে উপবৃত্তি টাকা দেওয়া হচ্ছে। ১ কোটি ৪০ লাখ শিক্ষার্থী এ সুবিধা পাচ্ছে। এ সময় শিক্ষার উন্নতির জন্য তার সরকারের নেওয়া নানা পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন তিনি।
শিক্ষানীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সাফল্য অর্জন করতে হলে নীতিমালা বা লক্ষ্য থাকা প্রয়োজন। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করে কাজ করলে সাফল্য পাওয়া যায়। আমরা শিক্ষা ক্ষেত্রে সেটাই করেছি।
অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী এবং কারিগরি ও মাদরাসা বিভাগের সচিব বক্তব্য রাখেন। এ সময় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।