1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৮ অপরাহ্ন

দেশব্যাপী অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিকের ছড়াছড়ি।

রাজিয়া সুলতানা তূর্ণা।
  • আপডেট : রবিবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৩

ঢাকা সহ সারা সারা দেশের জেলা উপজেলা এমনকি ইউনিয়নেও গড়ে উঠেছে  নিবন্ধন ছাড়া অবৈধ প্রাইবেট হাসপাতাল, ক্লিনিক,  ডায়াগনস্টিক।   স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে ও জেলা উপজলোর আনাচে-কানাচে গড়ে উঠেছে অননুমোদিত হাজার হাজার  প্রাইভেট হাসপাতাল,  ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। এসব প্রতিষ্ঠানে টাকার জন্য রোগীকে হয়রানি করা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার মান নিয়ে অভিযোগ উঠছে হরহামেশা। অনেকে সময় ভুল রিপোর্টের কারণে ভুল চিকিৎসা নিয়ে বিপাকে পড়ছেন রোগীরা। সংশ্লিষ্ট বিভাগের নজরদারির প্রতি অভিযোগ দিচ্ছেন ভুক্তভোগীরা   সরেজেমিন ঘুরে ও রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানগুলোর নিজস্ব কোনো চিকিৎসক, নার্স প্যাথলজিস্ট বা টেকনিশিয়ান নেই। নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে প্রতষ্ঠিানগুলো অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন রোগীরা। সরকারি কোনো তদারকি না থাকায় একশ্রেণীর(২)

অসাধু ব্যবসায়ীরা ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক ও দালাল চক্রের মাধ্যমে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা সহজ-সরল রোগীদের প্রতিনিয়ত ঠকিয়ে যাচ্ছে।  ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে বেশিরভাগ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক চলছে চিকিৎসার নামে রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা। কোনো কোনোটির লাইসেন্স থাকলেও সেগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ হয়ে গেছ এবং তা হালনাগাদ করা হয়নি। অনেক ক্লি¬নিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ট্রেড লাইসেন্স পর্যন্ত নেই। অবৈধ ক্লিনিকগুলো  মানসম্পন্নহীন এসব ক্লিনিক বন্ধ করে দেয়ার জোর দাবি সচতেন মহলের।  ডাক্তারদেরও অনুমোদনহীন ক্লিনিকে চিকিৎসা দিতে যাওয়া ঠিক নয়। অবৈধ কিংবা মানহীন ক্লিনিকগুলোকে শুধুমাত্র জরিমানা করে ছেড়ে দেয়া হলে হবে না, এগুলো বন্ধ করে দেয়া উচিত। সারা দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশ

অনুযায়ী অবৈধ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এখনও চলমান। বাধা ছাড়াই চলছে অধিক সংখ্যক  অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক। উপজেলা প্রশাসনের নীরব ভূমিকায়। নানা প্রশ্ন উঠেছে সচেতন মহলে। সূত্র জানায়, বর্তমানে একটি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগ নির্ণয় কেন্দ্র পরিচালনার জন্য প্রায় ২১টি ভিন্ন ভিন্ন কতৃপক্ষের লাইসেন্স বা ছাড়পত্রের প্রয়োজন হয়। নির্দিষ্ট শর্ত পূরণ করে এসব লাইসেন্স যেমন পেতে হয়, তেমনি নির্দিষ্ট সময় অতিবাহিত হলে লাইসেন্সগুলো নবায়নও করতে হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স ছাড়াও আর যেসব লাইসেন্স নিতে হয় তার মধ্যে রয়েছে ট্রেড, ফায়ার, ফার্মেসি পরিচালনা, পরিবেশ, জেনারেটর, ব্লাড ব্যাংক, ক্যাফেটিরিয়া ও লন্ড্রি, বিএস টিআই গভীর নলকূপ, আণবিক শক্তি কমিশন লাইসেন্স সহ মেডিক্যাল ম্যানেজমেন্ট সঠিক ভাবে থাকতে হবে।এ সকল নিয়ম নীতি না মেনে অবাধে চলছে সেবার নামে প্রতারণা।  ২০২২ সালের ২৬ শে মে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে সারাদেশে অনিবন্ধিত হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলো ৭২ ঘন্টার মধ্যে বন্ধের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও   আবার চালু হয়েছে।  কিভাবে চালু হলো তা নিয়ে সচেতন মহলে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।  তবে ব্যাঙের ছাতার মতোই গড়ে ওঠা ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিকের সংখ্যা দিন দিন বাড়লেও অনুমোদনের ব্যাপারে কোনো ভূমিকা দেখা যাচ্ছে না ক্লিনিক মালিকদের অনুমোদনহীন ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

 

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি