দেশে আশঙ্কাজনকহারে ডেঙ্গু সংক্রমণ বাড়ছে উল্লেখ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক মশা নিধনে দায়িত্বরতদের আরও কার্যকর ভূমিকা পালনের আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বুধবার (৫ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের অন্তঃবিভাগ ও অপারেশন কার্যক্রম উদ্বোধন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থেকে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘মশা নিধনে যারা দায়িত্বরত আছেন, তাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। আপনারা আপনাদের অ্যাক্টিভিটিস আরও বাড়ান।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘ডেঙ্গু সংক্রমণ আবারও বাড়ছে। আমাদের হাসপাতালগুলো চিকিৎসাসেবা দিয়ে যাচ্ছে। রোগীদের ব্যবস্থাপনাটা আমরা দেখছি, এখন মশাটা যাতে নিধন হয় সেই ব্যবস্থাটা করতে হবে।’
তিনি বলেন, হাসপাতালগুলো ভরে যাচ্ছে। চিকিৎসকরা দিনরাত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। রোগীর যেন মৃত্যু কম হয় চিকিৎসকরা চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে রোগীদেরও দায়িত্ব রয়েছে। যথাসময়ে হাসপাতালে আসতে হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্য খাতের অবস্থা গত ১০ বছরে অনেক এগিয়েছে। চিকিৎসক-নার্স দ্বিগুণ হয়েছে। নার্স নিয়োগ বন্ধ ছিল। টেকনিশিয়ান নিয়োগ বন্ধ ছিল, মামলার কারণে। সেই মামলা আমরা তুলে নেওয়ার ব্যবস্থা করে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করেছি। ৮টি বিভাগ ৮টি হাসপাতাল হচ্ছে, সেগুলোতে নতুন করে ৪ হাজার শয্যা যুক্ত হবে।’
নেতিবাচক সংবাদের মনোভাব থেকে বের হয়ে আসতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্র বলেন, ‘আমাদের নেগেটিভ নিউজের মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। পজেটিভ নিউজও নিউজ। একটি গোষ্ঠী মনে করে নেগেটিভ নিউজই নিউজ। এই মানসিকতা বিকৃত।’
অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার কথা ছিল স্বাস্থ্যমন্ত্রীর। তবে অসুস্থতার কারণে তিনি আসতে পারেননি বলে নিশ্চিত করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জোষ্ঠ্য তথ্য কর্মকর্তা মাইদুল ইসলাম। পরে জানানো হয়, মন্ত্রী যোগ দেবেন ভার্চুয়ালি।
স্পেশালাইজড এই হাসপাতাল নিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবং দেশবাসী আশা করেন এখানে সর্বোচ্চ উন্নত সেবা পাবে মানুষ। আমাদের প্রায় দুই হাজার লোক লাগবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিজ্ঞেস করেন, হাসপাতালের কার্যক্রম কেমন চলছে। করোনার কারণে আমাদের যন্ত্রপাতি আসতে দেরি হয়েছে। তাই ইনডোর সেবা শুরু হয়নি। এখন যন্ত্রপাতি আসছে।’