1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৩ পূর্বাহ্ন

দেশে ইউরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খুবই কম: বিএসএমএমইউ ভিসি

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩

অসংক্রামক রোগে মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে একটা বড় অংশ কিডনি রোগে মারা গেলেও দেশে প্রয়োজনের তুলনায় ইউরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খুবই কম বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।

সোমবার (২১ আগস্ট) বিএসএমএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের কনফারেন্স হলে দুদিনব্যাপী বিএইউএস-এইউএ লেসন ইন ইউরোলজি কোর্স-২০২৩ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্য বলেন, দেশে প্রতি লাখে একজন করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক প্রয়োজন। বাংলাদেশে সে সংখ্যক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নেই। বাংলাদেশে মাত্র ৪০০ জন ইউরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন। যা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।

শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, দেশে নারী ইউরোলজি চিকিৎসকও তুলনামূলক কম। নারী ইউরোলোজি চিকিৎসকদের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।

তিনি বলেন, আমরা ইউরোলজিসহ বেশ কিছু বিভাগে ফেলোশিপ কোর্স চালু করেছি। ইউরোলজি বিভাগে ইউরোলজি অনকোলোজি ফেলোশিপ, পেডিয়াট্রিক ইউরোলজি ফেলোশিপ ও রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট বিষয়ে তিনটি ফেলোশিপ কোর্স চালু করেছি। আশা করি এসব ফেলোশিপ শেষে একজন ইউরোলোজিস্ট আরও দক্ষ হয়ে ওঠবেন। যেসব প্রতিষ্ঠানের ফ্যাকাল্টি আছে, তারা আবেদন করলে ছাত্র ভর্তির ব্যবস্থা করব। এভাবে আগামী দশ বছর চলতে থাকলে দেশে ইউরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সংকট কাটিয়ে উঠা যাবে।

তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল শুভ উদ্বোধন করেন। এখান থেকে সব আধুনিক চিকিৎসাসেবা দেশের মানুষকে দেওয়া হবে। স্বাধীনতার ৫২ বছর ও বিএসএমএমইউ প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর পর আমরা ইতিহাস সৃষ্টিকারী সফল ক্যাডাভেরিক ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে সমর্থ হয়েছি। আমরা প্রথমবারের সফলভাবে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে সমর্থ হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী চান দেশের মানুষ যেন দেশেই চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করে। এটিকে সামনে রেখে এই বিশ্ববিদ্যালয় কাজ শুরু করেছে। এর ফলে দেশের মানুষের বিদেশে চিকিৎসানির্ভরতা কমেছে।

সুপার স্পেশালাইজডের সুবিধা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, সুপার স্পেশালাইডজ হাসাপতাল মাত্র তিন লাখ টাকায় কিডনি ট্রান্সপ্ল্যান্ট করা হচ্ছে। এটি পার্শ্ববর্তী দেশে করতে গেলে ৪০ লাখ টাকা খরচ হয়। পার্শ্ববর্তী দেশে লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করতে এক কোটি টাকা খরচ হয়। অথচ আমরা মাত্র ২০ লাখ টাকায় সফল লিভার ট্রান্সপ্ল্যান্ট করছি।

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন- বিএসএমএমইউর ইউরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. ইসতিয়াক আহমেদ শামীম, ইউরোলজি বিভাগের রেনাল ট্রান্সপ্ল্যান্ট ডিভিশনের প্রধান প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, বিএইউএসের সায়েন্টিফিক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. জাহাঙ্গীর, যুক্তরাষ্ট্রের এইউএর ডা. প্রিয়া পদ্মানবান, ডা. মন্টু গুপ্তা ও ডা. রবার্ট কেলেব কোভেল প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের তিন শতাধিক ইউরোলজির বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও রেসিডেন্টরা অংশ নেন। এছাড়াও সুপার স্পেশলাইজড হাসপাতালের পরিচালক ব্রি. জে. ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন ও সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ডা. ফারুক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি