যেসব ইলেকট্রনিক্স পণ্য বাংলাদেশে উৎপাদিত হয়- তা বিদেশ থেকে আমদানিতে নিরুৎসাহিত করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে উৎপাদিত ইলেকট্রনিক্স পণ্য দেশ থেকেই কিনতে হবে।
আজ শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন। মহামারি করোনার কারণে তিন বছর পর স্বাভাবিক নিয়মে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন- কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, মৎস্য ও প্রাণীসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, নৌপরিবহণ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এনবিআরের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব, পরিকল্পনা সচিবসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিবরা।
অর্থমন্ত্রী বলেন, দেশের ভেতরে যেসব পণ্য উৎপাদিত হয়, সেগুলো যদি আমাদের ব্যবহারে লাগে তাহলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি করা হোক। এসব পণ্য বিদেশ থেকে আনা আমরা ভালোভাবে দেখছি না। এগুলো দেশ থেকেই কিনতে হবে। বিদেশ থেকে এসব পণ্য আনার চেষ্টা যেন না হয়, সে বিষয়ে আমরা নিরুৎসাহিত করছি। আমরা এভাবেই ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ কনসেপ্টটা এগিয়ে নিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, এই অর্থবছরে অনেক চড়াই-উৎরাই আসবে। তবে এবারের বাজেট বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতি আগের তুলনায় অনেক শক্তিশালী হবে বলেও উল্লেখ করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত ২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার বাজেট গতকাল (বৃহস্পতিবার) জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং সংসদ নেতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে স্বাধীন বাংলাদেশের ৫১তম বাজেটের মূল স্লোগান কোভিডের অভিঘাত কাটিয়ে উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় প্রত্যাবর্তন। যেখানে মূল লক্ষ্য সক্ষমতার উন্নয়ন।
বৈশ্বিক ঝুঁকি কাটিয়ে অর্থনীতির স্থিতিশীলতার সঙ্গে জনজীবনে স্বস্তি ফেরানোই এবারের বাজেটের মূল লক্ষ্য।
প্রস্তাবিত এই বাজেটের আকার জিডিপির ১৫ দশমিক ২ শতাংশ। পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
বাজেটে মোট রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা। মোট ঘাটতির পরিমাণ ২ লাখ ৪৫ হাজার ৬৪ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৫ দশমিক ৫ শতাংশ। অভ্যন্তরীণ ও বৈদেশিক উৎস থেকে এই ঘাটতি মেটানো হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।