দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ১৪ হাজার ৭৭৮ জনের।
নতুন করে শনাক্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৪৮৩ জন। সব মিলিয়ে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৪২ জনে। এর আগে গত ২৭ জুন ১১৯ জন, ২৮ জুন ১০৪ জন, ২৯ জুন ১১২ জন, ৩০ জুন ১১৫ জন ও ১ জুলাই সর্বোচ্চ ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষায় শনাক্তের হার ২৮ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৯৪ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় সুস্থতার হার ৮৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ। শনাক্ত বিবেচনায় মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৫৯ শতাংশ।
শুক্রবার (২ জুলাই) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাছিমা সুলতানা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা সিটিসহ দেশের বিভিন্ন হাসপাতাল ও বাড়িতে উপসর্গ বিহীন রোগীসহ গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৫০৯জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ২৫ হাজার ৪২২ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫৬৬টি ল্যাবে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে আরটি-পিসিআর ল্যাব ১২৮টি, জিন এক্সপার্ট ৪৭টি, র্যাপিড অ্যান্টিজেন ৩৯১টি। এসব ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ৩০ হাজার ৩৮৫টি। মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৩০ হাজার ১২টি। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৬ লাখ ৭০ হাজার ৯৯৪টি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত ১৩২ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৩০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৪ জন, রাজশাহী বিভাগে ২৪ জন, খুলনা বিভাগে ৩৫ জন, বরিশাল বিভাগে দু’জন, সিলেট বিভাগে দু’জন, রংপুর বিভাগে নয়জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ছয়জন রয়েছেন।
মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে দেখা যায়, ৬০ বছরে ঊর্ধ্বে ৬৭ জন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ৩০ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ২০ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ১৪ জন ও ১১ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন রয়েছেন।
এতে আরও জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় আইসোলেশনে এসেছেন তিন হাজার ১৪ জন ও আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ১১৮ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে এসেছেন এক লাখ ৮৭ হাজার ১৭৫ জন। আইসোলেশন থেকে ছাড়পত্র নিয়েছেন এক লাখ ৩৮ হাজার ৮৭ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন ৪৯ হাজার ৮৮ জন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য মতে, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। এরপর ধীরে ধীরে আক্রান্তের হার বাড়তে থাকে।