দুই দশক পর আবারও আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে বিদ্রোহী গোষ্ঠী তালেবান। নিয়ন্ত্রণের পর থেকে ধীরে ধীরে পাল্টাতে শুরু করেছে সেখানের পরিস্থিতিও।
সোমবার বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কাবুলের সড়কগুলো ফাঁকা হয়ে গেছে। সেখানে এখন পিনপতন নীরবতা।
এদিকে, তালেবান যোদ্ধারা দেশটির রাজধানী কাবুল দখলের আগেই বিভিন্ন দেয়াল থেকে মুছে ফেলা হচ্ছে নারীদের ছবি। বন্ধ রাখা হয়েছে কার্পেট, অলঙ্কারের দোকান, ছোট ছোট ক্যাফে।
দোকান মালিকরা বলছেন, তারা তাদের জিনিসপত্র বাঁচাতে দোকান বন্ধ করে দিয়েছেন।
আফগানিস্তান পুরোপুরি তালেবানের দখলে চলে যাওয়ার পর সরকারি অফিসগুলোও বন্ধ। কাবুলের নিকটস্থ দূতাবাস এলাকাও নীরব। কূটনীতিক ও তাদের পরিবারবর্গ আফগানিস্তান ছেড়ে চলে যাচ্ছে।
দেশটির টেলিভিশন স্টেশন টোলো নিউজের প্রধান লুৎফুল্লাহ নাজাফিজাদা একটি ছবি টুইটারে শেয়ার করেছেন। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক ব্যক্তি কাবুলের একটি দেয়াল থেকে পণ্যের বিজ্ঞাপন হিসেবে থাকা নারীদের ছবি মুছে ফেলতে চুনকাম করছেন।
তালেবান বাহিনীর অগ্রযাত্রার মধ্যে কাবুলে বিভিন্ন পেশায় যুক্ত নারীরা গত কয়েক দিন ধরেই সাহায্যের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আবেদন করছিলেন।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ পর্যন্ত তালেবানি শাসনামলে আফগানিস্তানে নারীদের মুখ, চুলসহ সম্পূর্ণ দেহ ঢাকা বোরখা পরা বাধ্যতামূলক ছিল। বয়ঃপ্রাপ্ত হলেই মেয়েদের স্কুলে যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ।
যদিও তালেবান আশ্বস্ত করে বলছে, আফগানরা খুব দ্রুতই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন।