যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। আজ সোমবার (২২ আগস্ট) শুরু হওয়া এ মহড়াকে বলা হচ্ছে গত কয়েক বছরের মধ্যে দুই দেশের সবচেয়ে বড় সামরিক মহড়া। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার বিষয়টি সামনে রেখে মিত্র দুই দেশ জোরালো প্রস্তুতি নিচ্ছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
এটি একটি গ্রীষ্মকালীন বার্ষিক মহড়া। এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘উলচি ফ্রিডম শিল্ড’। আজ থেকে শুরু হওয়া মহড়াটি আগামী ১ সেপ্টেম্বরে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। গত মে মাসে ক্ষমতা গ্রহণের পর দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল মিত্র দুই দেশের মহড়া স্বাভাবিক করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলারও ঘোষণা দিয়েছিলেন। তাঁর এসব ঘোষণার পর যৌথ মহড়া শুরু হলো।
ইউন বলেন, ‘সামরিক ও বেসামরিক মহড়ার লক্ষ্য হচ্ছে যুদ্ধের ধরন বদলে যাওয়ার সঙ্গে নিজেদের প্রস্তুতি উন্নত করা।’ বর্তমান বিশ্বের বাস্তব পরিস্থিতির ওপর ভিত্তি করে নিজেদের প্রস্তুত করতে মহড়া চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা মহামারির কারণে মহড়ার তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই পিছিয়ে যাওয়া মহড়া নতুন করে শুরু হচ্ছে। এ মহড়াকে হামলার প্রস্তুতি মনে করা হচ্ছে। ইউনের পূর্বসূরি পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে আলোচনা পুনরায় শুরু করতে চেয়েছিলেন। ইউন ক্ষমতায় আসার পর নতুন করে মহড়া শুরু হলো।
এদিকে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র প্রাথমিক মহড়া শুরু করার পর উত্তর কোরিয়া গত সপ্তাহে পশ্চিম উপকূল থেকে দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। সিউল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, উত্তর কোরিয়া এ বছর নজিরবিহীনভাবে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে। যেকোনো সময় দেশটি সপ্তম পারমাণবিক পরীক্ষা চালাতে পারে।
ইউন বলেছেন, পিয়ংইয়ং পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের দিকে পদক্ষেপ নিলে তাঁর সরকার অর্থনৈতিক সহায়তা দিতে ইচ্ছুক। তবে উত্তর কোরিয়া এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে এবং প্রকাশ্যে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সমালোচনা করেছে।
সিউলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দুই দেশ এই গ্রীষ্মে ১১টি ফিল্ড ট্রেনিং প্রোগ্রাম করবে, যার মধ্যে একটি ব্রিগেড পর্যায়ের। এ মহড়ায় হাজার হাজার সৈন্য অংশ নেবেন।