ফরিদপুরে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে এক ব্যক্তির যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রবিবার বিকেল ৩টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। আদেশ অনুযায়ী যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যাক্তিকে এক লাখ টাকা প্রদান করতে হবে। ওই টাকা বাদীকে প্রদান করা হবে।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত ওই ব্যাক্তির নাম মো. শামীম মোল্লা (৩৩)। তিনি ফরিদপুর সদরের পেযারপুর গ্রামের বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় শামীম মোল্লা আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী ফরিদপুর সদরের কৈজুরি ইউনিয়নের একটি গ্রামের বাসিন্দা। ২০২০ সালের ১২ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কিশোরীর মা কিশোরীকে ঘরে রেখে বাইরে যান। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শামীম মোল্লা কৌশলে ওই কিশোরীকে পাশের একটি বসতঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে।
এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে শামীম মোল্লাকে একমাত্র আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ফরিদপুর কোতয়ালী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আলী মন্ডল ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট শামীম মোল্লাকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌসুলী (পিপি) স্বপন কুমার সাহা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় শামীম মোল্লাকে যাবজ্জীন সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আসামিকে এক লাখ টাকা প্রদান করতে হবে এবং এ টাকা বাদীকে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন আদালত।