রাজধানীর বনানীতে রেইনট্রি হোটেলে দুই নারীকে ধর্ষণ নিয়ে বিচারক মোছা. কামরুন্নাহারের পর্যবেক্ষণের বক্তব্যে রোববার (১৪ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ একথা বলেন।
তিনি বলেন, বিচারিক ক্ষমতা কেড়ে নেয়ার বিষয় নয়। এ রকম ঘটনা ঘটলে প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা রয়েছে বিচার কাজ থেকে কাউকে বিরত রাখা। কোন ফৌজদারি অপরাধ মামলা করার ক্ষেত্রে তামাদি হয়না। এই মামলার ক্ষেত্রে আপত্তির বিষয় পর্যবেক্ষণে ৭২ ঘন্টার যে বিষয়টি বলেছেন। সংবিধানের ৩১ অনুচ্ছেদের যে নাগরিক অধিকার তার পরিপন্থি।
তিনি বলেন, এই বক্তব্য বিজ্ঞ বিচারকদের জন্য বিব্রতকর। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি ভুল নির্দেশনা দেয়। তাকে শোকজ করা হবে, কেন বলেছেন তার ব্যাখ্যা চাওয়া হবে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয়া হলে জনগণের কাছে ভুল বার্তা যেত। প্রধান বিচারপতিই তাকে শোকজ করবেন।
তিনি আরও বলেন, বিচারকের রায় নিয়ে কোন কথা বলবো না। যা কিছু হচ্ছে তা আইনের মধ্যে থেকে হয়েছে, ভবিষ্যতেও তাই হবে। তার বক্তব্য অসাংবিধানিক ও বেআইনি।