1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪ অপরাহ্ন

ধানের বদলে কুমড়া চাষে তিন গুণ লাভ

বিশেষ প্রতিবেদন
  • আপডেট : শুক্রবার, ৭ মে, ২০২১

দাম ভালো পাওয়ায় ফেনী সদর উপজেলার কালিদহ ইউনিয়নে ধানের পরিবর্তে কুমড়া চাষের দিকে ঝুঁকছেন কৃষকরা। এতে তিন গুণ বেশি লাভ হচ্ছে বলে দাবি তাদের।

কালিদহ ইউনিয়নে কৃষকদের জন্য আইপিএম নামের একটি ক্লাব রয়েছে। ওই ক্লাবের সদস্য ২০ জন। আইপিএম ক্লাবের সভাপতি মহিউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল হালিম। মহিউদ্দিন জানান, কৃষি কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় তিনিও ২০ শতক জমিতে কুমড়া চাষ করেছেন। ফলন ভালো হওয়ায় আগামীতে দ্বিগুণ কুমড়া চাষ করবেন। প্রতি শতক কুমড়া চাষে খরচ হয়েছে ৩শ টাকা। প্রতি শতক কুমড়া বিক্রি করেছেন ১ হাজার টাকায়। এতে খরচ মিটিয়ে ৭শ টাকা করে লাভ হয়েছে।

তিনি আরও জানান, কুমড়া বিক্রি করার পর ওই জমিতে আউশ ধান চাষ করবেন।সদর উপজেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, কৃষি অফিস থেকে কালিদহ আইপিএম ক্লাবকে কৃষি কাজে পানি সেচের জন্য ৬শ ৫০ ফুটের একটি পাইপ ও মোটর দেওয়া হয়েছে। ফেনী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ পরিচালক মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম জনান, ধান চাষের চেয়ে কুমড়া চাষে খরচ কম। তাই কৃষকদের কুমড়া চাষে আগ্রহ বেড়েছে।

অপরদিকে জেলার ফুলগাজী উপজেলার মুন্সীর হাট ইউনিয়নের উত্তর আনন্দ পুর এলাকায় এ বছর চাল কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে বলে জানিয়েছেন চাষিরা। আগামীতে কুমড়া চাষের ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে বলে জানিয়েছে কৃষি বিভাগ।

সবুজে ছেয়ে গেছে পুরো এলাকা। বিশেষ করে উপজেলার মুন্সীর হাটের উত্তর আনন্দ পুর, বালুয়া, কুতুব পুর, দরবারপুর, শ্রীচন্দ্রপুর অঞ্চলে ব্যাপকহারে এসব কুমড়ার আবাদ হয়েছে। ধান চাষের উপর নির্ভরশীল কৃষি জমিতে এ বছর কুমড়া চাষ এনে দিয়েছে কৃষকদের নতুন গতি। এই উপজেলার উৎপাদিত কুমড়া জেলা শহর ফেনীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য নেওয়া হয়।

উপজেলার মুন্সীর হাট ইউনিয়নের উত্তর আনন্দপুর গ্রামের চাষি শাহজালাল অনিক জানান, তিনি এবছর মাত্র ৩০ শতক জমিতে চাল কুমড়ার চাষ করেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার টাকা। কুমড়া বিক্রি করে তার প্রায় ২০/২৫ হাজার টাকা লাভ হতে পারে। এর আগে একই জমিতে আলু চাষ করেও তার ভালো লাভ হয়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মাসুদ রানা জানান, উপজেলার বেশকিছু এলাকায় এবার চাল কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। নিয়মিত কৃষি অফিস থেকে তাদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামীতে এর ফলন আরও বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে। কৃষকদের উন্নত মানের বীজও দেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি