গত ছয় মাস মাঠের ভেতর ও বাইরে যে কতটা চাপ সহ্য করতে হয়েছে বিরাট কোহলিকে, তার ইয়ত্তা নেই। একে একে সব ফরম্যাট থেকে ছেড়েছেন নেতৃত্ব। খারাপ ফর্মে থাকার কারণে মানসিক ধকল সামলাতে মাঝেমধ্যে নিতে হয়েছে বিশ্রাম। নানা সমালোচনা আর সংশয়বাণী শুনতে হয়েছে। ওই সময় খুব বেশি মানুষকে পাশে পাননি ডানহাতি ব্যাটসম্যান।
গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষে এই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। রোহিত শর্মাকে দেওয়া সাদা বলের দুই ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে স্বাগতিকদের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও ২-১ এ টেস্ট সিরিজ হারার পর লাল বলের ক্রিকেটেও নেতৃত্ব ছাড়েন তিনি।
সম্প্রতি এশিয়া কাপের আগে এক মাসেরও বেশি সময় ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন। এরই মধ্যে তিন ম্যাচে করলেন দুটি ফিফটি। পাকিস্তানের বিপক্ষে সুপার ফোরে ৪৪ বলে ৬০ রান করা এই ব্যাটসম্যান বললেন দুঃসহ সময়ের কথা।
ম্যাচ শেষে কোহলি বলেছেন, ‘একটি ব্যাপারে আমি আপনাদের বলতে চাই, যখন আমি টেস্ট অধিনায়কত্ব ছাড়লাম, তখন প্রাক্তন ক্রিকেটারদের মধ্যে কেবল একজনের কাছ থেকে মেসেজ পেয়েছিলাম- মহেন্দ্র সিং ধোনি। অনেকের কাছে আমার ফোন নম্বর আছে এবং অনেকে আমাকে টিভিতে পরামর্শ দেন, কিন্তু যাদের কাছে আমার নম্বর আছে, আমি তাদের মধ্যে আর কারও কাছ থেকে একটি মেসেজও পাইনি।’
কোহলির ব্যাখ্যা, ‘যখন পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও যোগাযোগ থাকে, সেটা যদি আসল হয়, তখন তো এমনটাই হয়। তার (ধোনি) সঙ্গে আমি কখনও অনিরাপত্তাবোধ করিনি, তিনিও করেননি। আমি মনে করি কখনও যদি সাহায্য প্রয়োজন হয়, কাউকে যদি কিছু বলতে চাই তখন আমি তার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলবো। যদি পুরো বিশ্বের সামনে পরামর্শ দেন, সেটা আমার কাছে মূল্যহীন। আমাকে পরামর্শ দিতে চাইলে সামনাসামনি বসুন।’