নওগাঁ প্রতিনিধি:
মালঞ্চ,শালবন,গন্ধবপুর,পাঁচঘরিয়া পাশাপাশি চারটি গ্রাম।এই চারটি গ্রামে মাত্র ১ কিলোমিটারের দূরর্ত্বের ব্যাবধানে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও জনবসতির মধ্যেই দেখাদেখি গড়ে উঠেছে ৮ টি অবৈধ ইটভাটা। এখান হতে আধাঁ কিলো দক্ষীনে আধাঁ কিলোমিটার দূরর্ত্বের ব্যাবধানে জগৎনগর ও সাগরপুর মৌজাই রয়েছে আরও দুইটি ইটভাটা। মাত্র ১ কিলোমিটারের ব্যাবধানে এতগুলো ইটভাটার কারনে এলাকাবাসীর জীবন হয়ে উঠেছে দূর্বিষহ।
অবৈধ ভাবে গড়ে ওঠা এসব ভাটা মালিকরা প্রভাবশালী হওয়ায় নিয়মের তোয়াক্কা না করেই মোটা অংকের টাকার প্রলোভন দিয়ে ফসলি জমি কেটে মাটি নেওয়া হচ্ছে ইটভাটাই। এতে যেমন ফসলি জমিগুলো হয়ে পরছে অনাবাদী তেমনি দিনরাত রাস্তা দিয়ে ট্রাক্টর চলাচল করায় স্থানীয়দের চলাফেরা হয়ে উঠেছে ঝুকিপূন। ট্রাক্টরের চাঁকার কারনে রাস্তাগোলো দিনের বেলাতেই ধুঁলার অন্ধকার হয়ে থাকে। যার কারনে হাঁপানি,আজমাসহ দেখা দিচ্ছে নানা রোগ। ইটভাটার ধূঁয়ার কারনে এ এলাকার ফলজ গাছগুলো এখন অনেকটা ফলশূন্য। আর ছোট ছোট ছেলে মেয়েদের স্কুলে যাওয়া -আসা হয়ে উঠেছে আরও ঝুকিপূন। এছাড়া কয়েকটি ইটভাটায় কয়লার পরির্বতে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। এমন দৃশ্য নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার ঐতিহাসিক পাহাড়পুর ইউনিয়নের। শুধু এই ইউনিয়ন নয় এ উপজেলা জুড়ে রয়েছে এরকম আরও ২৬ টি ইটভাটা যার সবগুলোই অনুমোদনহীন অবৈধ। যাদের নেই কোন পরিবেশ লাইসেন্স বা অন্য কোন কাগজপত্র। অথচ প্রশাসন এখানে একেবারেই নিরব। স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাাসনকে ম্যানেজ করে চলছে এসব অবৈধ ইটভাটা।
স্থানীয় বাসিন্দা নিজামুল হোসেন বলেন, এখানে ৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকা স্বর্তেও ১ মিলোমিটারের ব্যাবধানে জনবসতির মধ্যেই ৮ টি ইটভাটা গড়ে উঠেছে। প্রতিযোগিতা মূলকভাবে একজন মালিকই একাধীক ইটভাটা নির্মান করেছে। ভাটাগুলোর কারনে প্রতি মূহুর্ত্বে যেভাবে ট্রাক্টর চলাচল করে তাতে ধূলোর দিনের বেলায়ও রাস্তাগুলো অন্ধকার হয়ে থাকে। সেজন্য ছেলে-মেয়েদের একা স্কুলে পাঠাতে ভয় হয়। আর সব সময় ধুলোর কারনে রোগ-বালায় তো লেগেই আছে। আমরা এর প্রতিকার চাই। এখানে সামান্য দূরুত্বে এত ইটভাটার প্রয়োজন নেই । বৈধভাবে একটি ইটভাটা রেখে বাকিগুলো বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বন ও পরিবেশ মন্ত্রীর দৃষ্টি আর্কষন করছি।
পাঁচঘরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সবুজ হোসেন আক্ষেপ করে বলেন,কৃষকদের মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে ফসলি জমি হতে ইটভাটাগুলোতে যেভাবে মাটি কেটে নেওয়া হচ্ছে কিছু দিনের মধ্যেই এ এলাকার আর কোন ফসলি জমি আবাদের উপযুক্ত থাকবে না। ইটভাটার মালিকরা অনেক প্রভাবশালী। আমরা যুবকরা কোন প্রতিবাদ করলে উল্টো আমাদেরই হুমকি দেওয়া হয়। আর বহুবার প্রশাসনকে অভিযোগ করেছি। কোন কাজ হয়নি।
এ বিষয়ে বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আলপনা ইয়াসমি বলেন, খোজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হবে।