সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক মামলায় নওগাঁয় ছাত্রদলসহ বিএনপির ছয় নেতার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৭ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল ইসলামের আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিনের আবেদন করেন। এ সময় বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আসামিরা হলেন, নওগাঁ সদর থানা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার কামাল চঞ্চল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আজম টুটুল, জেলা যুবদলের ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রুহুল আমিন মুক্তার, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহজাহান বাদশা, যোগাযোগ সম্পাদক বকুল হোসেন এবং সাদমান হক নিলয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুর রাজ্জাক বলেন, নাশকতার মামলায় তারা উচ্চ আদালত থেকে জামিনে ছিলেন। পরবর্তীতে উচ্চ আদালতের নির্দেশে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করে। কিন্তু বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী এপিপি আনোয়ার হোসেন বলেন, এই ছয় আসামির জামিনের কোনো সুযোগ ছিল না। তারা পুলিশের ওপর হামলা ও ভাঙচুরের মতো মামলার অন্যতম আসামি। আদালত তাদের জামিন না দিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, হেফাজতকর্মী নিহতের ঘটনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে চলতি বছরের ৩০ মার্চ নওগাঁ শহরের কেডির মোড়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করার চেষ্টা করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে অন্তত ১০ পুলিশ সদস্য ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা-কর্মী আহত হন।
সরকারি কাজে বাঁধা, পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি সম্পত্তিসহ জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় নওগাঁ সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে এ মামলা করেন। পৃথক দুই মামলায় ৫৭ জন করে একই ব্যক্তিসহ অজ্ঞাত আরও অনেকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।