গোলাম রব্বানী: নড়াইলের নড়াগাতী থানার বাঐসোনা ইউনিয়নের একটি গ্রামে ৮ম শ্রেণীর এক কিশোরীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারনার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়নের দক্ষিণ যোগানীয়া গ্রামের সোহাগ ঠাকুরের বিরুদ্ধে। স্থানীয় মোড়লরা বিষয়টি মিমাংসা করার কথা বলে ছেলের পক্ষে সাফাই গাইছেন বলে জানা যায়। এ ঘটনায় মেয়ের পিতা অভিযুক্ত সোহাগ ঠাকুর (১৯) তার মাতা সালেহা বেগম (৪২) ও বোন সাবিনা বেগমের নামে অভিযোগ করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ। ২৭ সেপ্টেম্বর (শুক্রবার) সরেজমিনে গেলে বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান ভুক্তভোগীরা।
অভিযোগে জানা যায়, মেয়েটি স্কুলে যাওয়ার সময় ট্রলি ড্রাইভার সোহাগ ঠাকুর প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করতো। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ ২ বছর যাবত প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২ সেপ্টেম্বর সোহাগ কিশোরীকে নিয়ে একই গ্রামের একটি ইটের ভাটায় নিয়ে অনৈতিক কর্মকান্ড চালায়। অতঃপর পরিবারের লোকজন খুঁজে তাকে বাড়ীতে এনে মারপিট করলে বিষয়টি সোহাগকে জানালে আবারও চলে আসতে বলে। পরবর্তীতে স্থানীয় মাতুব্বরেরা বিবাহের মাধমে সমাধানের কথা বলে ম্যানেজ হয়ে যান। যার ফলে কোন বিচার পায়নি মেয়ে পক্ষ। এমতাবস্থায় সুষ্ঠু বিচার চান ভুক্তভোগী পরিবার।
নড়াগাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি সম্বন্ধে এসআই মাহাবুব সাহেব অবগত আছেন।
এসআই মাহাবুবের সাথে কথা হলে বলেন, এ ঘটনায় উভয় পক্ষকে থানায় ডাকা হলেও মেয়ে পক্ষ হাজির হয়নি, তবে এ বিষয়ে উভয় পক্ষকে আবারো ডাকবেন বলে তিনি জানান।