প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৩০ নভেম্বর থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিটে যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, আগামী ৩০ নভেম্বর থাইল্যান্ডে বিমসটেক সামিট অনুষ্ঠিত হবে। প্রথমবারের মতো এটি আয়োজন করেছে দেশটি। এ সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর আগে এ মাসের ১৭ তারিখে বিমসটেক দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের মিটিং হবে।
তিনি বলেন, আজ দুপুরে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব (পূর্ব) সৌরভ কুমারের সঙ্গে আমার বৈঠক হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশে বিমসটেকের চেয়ার হচ্ছে। সুতরাং যেসব ইস্যু আছে, সেগুলো আমাদের ওপরও বর্তাবে। এ জন্য নতুন চেয়ার কী ভাবছে, সেগুলোও হয়তো তারা দেখছেন। এ ছাড়া ভারতের সেক্রেটারি জেনারেল হয়েছে, সুতরাং সার্বিক বিষয়ে আলোচনার জন্যই এসেছেন তিনি।
মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ভারতের লিড এরিয়া সিকিউরিটি রিলেটেড ও বাংলাদেশের বাণিজ্যিক বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বাংলাদেশ যেহেতু বিমসটেক সচিবালয় পরিচালনা করে, তাই বিমসটেকের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ-ভারতের আলাপের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের বর্তমান সেক্রেটারি জেনারেল ভুটানে, তার টার্ম শেষ হবে ৫ নভেম্বর। এর পরের টার্ম ভারতের। তারাও পরবর্তী সেক্রেটারি জেনারেল ঠিক করছেন। একদিকে তারা সেক্রেটারি জেনারেলশিপ নেবেন, অন্যদিকে বাংলাদেশ চেয়ারম্যানশিপ নেবে ডিসেম্বরের দিকে।
মালি থেকে শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের বিষয়ে সচিব বলেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সব শান্তিরক্ষীকে মালি থেকে প্রত্যাহার করা হবে। গত ৩০ জুন জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সর্বসম্মতভাবে একটি রেজ্যুলেশন পাস হয়। ওই রেজ্যুলেশনের মাধ্যমে কার্যত মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ম্যান্ডেট বাতিল ও মালি মিশন হতে সব শান্তিরক্ষী প্রত্যাহারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, মালিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন বন্ধের মূল কারণ হলো- মালি সরকারের অসম্মতি।
বাংলাদেশ ছাড়া আরও বেশ কয়েকটি দেশের শান্তিরক্ষীরা মালি শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছে। গৃহীত রেজ্যুলেশন অনুযায়ী- মালি মিশনে দায়িত্বরত সব শান্তিরক্ষীদের প্রত্যাহার করা হবে। জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীন ভবিষ্যতে যে কোনো শান্তিরক্ষা মিশনে অংশগ্রহণ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রস্তুতি সবসময় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৩ সাল থেকে এ শান্তিরক্ষা মিশনের কার্যক্রম শুরু হয়। শুরু থেকেই মালিতে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী এবং পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা মালিতে শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্বরত আছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মিলিয়ে প্রায় ১৭০০ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী মালি মিশনে দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।