নরসিংদী প্রতিনিধিঃ নরসিংদীতে পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোকে কেন্দ্র করে বাকবিতন্ডার জেরে টেইলার্সে হামলার সময় গুলিবিদ্ধ নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুস সালাম (৬০) এর মৃত্যু হয়েছে।
১২ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত আব্দুস সালামের স্ত্রী আরজান বেগম ও মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে ১৫ এপ্রিল রাত ৯টায় সদর উপজেলার পাঁচদোনা বাজারে সোহাগ টেইলার্সে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এতে ৪ জন আহত হয়। নিহত আব্দুস সালাম সদর উপজেলার নেহাব গ্রামের বাসিন্দা ও পাঁচদোনা বাজারের মাইক্রো গ্রীণ সিটি মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী ছিলেন। পুলিশ, আহত ব্যক্তি ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোকে কেন্দ্র করে ১৫ এপ্রিল সন্ধ্যায় সোহাগ টেইলার্স এর মালিক সিরাজ মিয়ার সাথে পাঁচদোনা গ্রামের মাইন উদ্দিনের ছেলে জাহাঙ্গীরের কথা কাটাকাটি হয়। এসময় জাহাঙ্গীর ও তার সহযোগীরা সিরাজকে মারধর করে। এ ঘটনার পর সিরাজ টেলাইর্স বন্ধ করে বাসায় চলে গেলে বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা তাকে দেখতে বাসায় যান এবং বিচারের আশ্বাস দেন। পরে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অভিযুক্তদের শনাক্ত করার জন্য টেইলার্স মালিক সিরাজকে নিয়ে বাজারে আসেন ব্যবসায়ী ও অন্যান্যরা। এসময় অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর ও সাইদুর রহমান এর ছেলে নূর আলম (২১) এর নেতৃত্বে ১৫/২০ জন সন্ত্রাসী আবার কেন দোকান খোলা হলো এমন অভিযোগে হামলা চালায়। এসময় ফাঁকা গুলিতে বাজারের মার্কেটের নিরাপত্তা প্রহরী আব্দুস সালাম গুলিবিদ্ধসহ চাপাতির কোপে আহত হয় ৪ জন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে পাঠালে চিকিৎসকরা গুলিবিদ্ধ নিরাপত্তা প্রহরীকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠায়। সেখানে ১২ চিকিৎসাধীন থাকার পর মঙ্গলবার তার মৃত্যু হয়। নিহত সালাম ভূইয়ার স্ত্রী আরজান বেগম বলেন, সামান্য পাঞ্জাবির বোতাম লাগানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে মাধবদী পৌর মেয়র মোশাররফ হোসেন প্রধান মানিকের গাড়িচালক আলামিন ও তার সহযোগীরা আমার স্বামীকে গুলি করে। টানা ১২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে আজ সকালে তিনি মারা গেছেন। ড্রাইভার আলামিন মেয়রের ব্যবহৃত গাড়ি থেকে নামার পরই এই গুলির ঘটনা ঘটেছে। মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দুজ্জামান বলেন, এ ঘটনার পরই পুলিশ বাদী হয়ে অস্ত্র আইনে একটি মামলা করেন। এছাড়া গুলিবিদ্ধ সালামের পরিবারের পক্ষ থেকেও একটি মামলা করা হয়। ওই মামলাটিই এখন আইন অনুযায়ী হত্যা মামলায় পরিনত হবে। এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।