নাগরপুর(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি: নাগরপুর দপ্তিয়র ইউনিয়নের যুবক`রা দিন দিন অনলাইন জুয়ার দিকে অগ্রসর হচ্ছে। অল্প সময়ে যেমন টাকা দ্বিগুণ হচ্ছে ঠিক তেমন ভাবেই আবার চলেও যাচ্ছে।এর মাঝেই কিছু অসাধু অনলাইন জুয়ার ব্যবসায়ী হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা।বর্তমানে ফেসবুক, ইউটিউব এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে দেখা যায়- অসংখ্য চোখ ধাঁধানো বিজ্ঞাপন, শর্টকাট উপায়ে লোকদের প্রলুব্ধ করে কোটিপতি হওয়ার। এই বিজ্ঞাপনগুলো পুরস্কার হিসাবে বিপুল পরিমাণ অর্থ, বাড়ি, গাড়ি এবং দামি স্মার্টফোনসহ বিলাসবহুল আইটেমগুলো প্রদর্শন করে এবং সেগুলো জিতে নিতে অনলাইন ট্রেডিং বা জুয়া খেলতে উৎসাহ দেয়।ফেসবুক ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে শত শত পেজ আছে যেগুলো জুয়া খেলার জন্য পরিচিত। যেমন- সোলার ভ্যালি, ক্যাশ রিভার স্লটস, ক্লাব৯৯৯ অনলাইন গ্যাম্বলিং এবং ভেলকি। এসব পেজের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে পরিচালিত হচ্ছে। অন্যদিকে বেট৩৬৫.কম, বিডিটি১০.কম, বেটস্কোর২৪.কমসহ ৫০টির বেশি ওয়েবসাইটে ও ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে চলছে অনলাইন জুয়া।মোবাইল অ্যাপ ছাড়াও জুয়াড়িরা বিভিন্ন ওয়েবসাইট ও ডোমেইনের মাধ্যমে সরাসরি অনলাইন গেম বা জুয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারে। তখন তাদের একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে হয় এবং এটির জন্যও নিবন্ধন করতে হয়। এজন্য তাদের অভ্যন্তরীণ বা আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ব্যাংকিয়ের মাধ্যমে পেমেন্টে করতে হয়।অনলাইন জুয়া বা বেটিংয়ের কারণে দেশের টাকা বিদেশে চলে যাচ্ছে। গত এক বছরে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে জুয়ার বিপুল টাকা লেনদেন হয়েছে।দেশের জুয়ার সাইটগুলো রাশিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও ভারত থেকে পরিচালিত হয়। বাংলাদেশে যারা থাকেন, তারা মাস্টার এজেন্ট। বিদেশে যারা পরিচালনা করেন, তারা সুপার এজেন্ট। যখন আইপিএল ও বিপিএল খেলাগুলো চলে, তখন তারা বাজি ধরে।আইপিএল, বিপিএলসহ মূলত ক্রিকেট খেলাকে ঘিরেই এই বেটিং সাইট পরিচালিত হয়। বেটিং সাইটগুলোতে বিভিন্ন ক্রিকেট খেলায় নির্দিষ্ট ওভার বা বলে কত রান হবে অথবা নির্দিষ্ট ম্যাচটি কোন দল জিতবে তার উপর ১:৩ অনুপাতে বেটিং করা হয়। সাধারণ ইউজারের নির্দিষ্ট টার্গেট করা রান বা তার নির্দিষ্ট দল জিতলে বেটিংয়ের পিবিইউ পরিমাণের তিনগুণ বা বেটিংয়ের শর্ত অনুসারে পিবিইউ ফেরত পায়। এভাবেই বেটিং বা অনলাইন জুয়া পরিচালিত হয়।