সালাহ উদ্দিন, নাটোর :
নাটোরের লালপুরে স্থানীয় প্রশাসন ও প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করে রাতের অন্ধকারে পদ্মার চরে বালু ও মাটি কেটে বিক্রি করছে ভূমিদস্যুরা। অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি কাটায় হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে ফসলি জমি সহ নদীর তীর রক্ষা বাঁধ । আর রাজস্ব আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। অন্যদিকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলন করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ভূমিদস্যুরা। লালপুর , চরজাজিরা , মোহরকয়া, বাকনাই, রসুলপুর,নওসারা সুলতানপুর, লক্ষীপুর মৌজাসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স , লালপুর থানার পাশে থেকে রাতের অন্ধকারে বালু ও মাটি কাটা চললেও স্হানীয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে নানা প্রশ্ন সচেতন মহলে।
অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি কাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন সহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে প্রতিকার পাচ্ছে না স্থানীয়রা। এছাড়া বালু ও মাটি কাটার সময় স্থানীয় প্রশাসনকে মুঠো ফোনে অবগত করলেও আইনি ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা। স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সহ প্রভাবশালীদের উৎকোচের বিনিময়ে ম্যানেজ করে অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি কাটা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে । ফলে প্রশাসনকে অবগত করে কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ভুক্তভোগীরা। অবৈধভাবে বালু ও মাটি উত্তোলনের ফলে হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি,নদীর তীর রক্ষা বাঁধ, প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক জোন এলাকার জমি,উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স,থানা ভবন ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সহ বিভিন্ন স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশংকা করছেন সচেতন মহল।
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন আখতার বলেন, অবৈধ ভাবে বালু ও মাটি ভরাট উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।