মোঃ ওসমান গনি (ইলি) কক্সবাজারঃ কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের আওতাধীন ফুলছড়ি রেঞ্জের নাপিত খালী বিট কর্মকর্তা কার্যালয়ের ষ্টোর রুম থেকে রহস্য যনক ভাবে চুরির ঘটনা ঘটছে। দরজার তালা ভেঙে সরকারী মালামালসহ জব্দকৃত মালামাল লোট করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন বিট কর্মকর্তা। দিনমজুরি কাজ করে এমন লোকসহ আঘাতনামা ১০/১২ জনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ এলাকাবাসীর।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্তরা ভুমিদস্যু ও পেশাদার চোর বটে। এজাহারে উল্লেখ্য সময়ে বিট কর্মকর্তা অফিস ও ষ্টোর রুমের দরজায় তালাবদ্ধ করিয়া সঙ্গীয় সাক্ষীদের নিয়ে বিট এলাকায় টহল ডিউটি শেষে বিট অফিসে উঠার সময় বিট কর্মকর্তা দেখিতে পাই যে, উক্ত অভিযুক্তরা বিট অফিস হইতে সরকারী বিভিন্ন মালামাল সহ জব্দকৃত আলামত এবং হিসাবের খাতাসহ নিয়ে অফিস ও ষ্টোর রুম থেকে দলবদ্ধ ভাবে বাহির হতে।
এই সময় বিট কর্মকর্তা মোবাইলে আসামীদের ছবি ধারন করে। তাদের চিৎকারে আশে পাশের ভিলেজার ও স্থানীয় জনতা আগাইয়া আসিলে তাহারা বিট কর্মকর্তাসহ সবাইকে হত্যার হুমকি দিয়ে মালামাল নিয়ে পলাইয়া যায়। তার তথ্য মতে সরকারী মালামাল ও জব্দকৃত আলামত যার মূল্য আনুমানিক (৩০ হাজার) টাকা চুরি করিয়া নিয়ে গেছে বলে জানান।
ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে নাপিত খালী বিট কর্মকর্তা নুর মোহাম্মদ আলী বলেন, ডিউটি থেকে ফেরার পথে অফিসে উঠতে দেখি ১০/১৫ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল অফিস ও স্টোর রুমের তালা ভেঙে সরকারি জব্দকৃত মালামাল লুট করে নিয়ে চলে যাচ্ছে তখন আমরা বাঁধা দিলে তাদের হাতে থাকা দা দিয়ে মারিবে কাটিবে বলে হিমকি দিয়ে মালামাল নিয়ে চলে যায়।আমি এখন সংরক্ষিত বনাঞ্চলে অনেকটা নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। এ বিষয়ে আমি বন বিভাগের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি এবং জীবনের নিরাপত্তার জন্য থানায় এজাহার দায়ের করেছি। বিলেজার পাড়া বসবাসকারী কয়েকজন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বলেন, এজাহার পড়ে ও বিট অফিসারের মুখের কথা শুনলে বুঝতে পারবেন সম্পূর্ণ নাটকীয় ঘটনা। হয়তো বন বিভাগের গাছ বিক্রি করছেন ও জব্দকৃত মামলা চুরি করে বিক্রি করার কারণে সম্পন্ন নাটকীয় ঘটনা সাজিয়ে মামলা দিয়েছেন। এলাকাবাসীর দাবী এই মিথ্যা বানোয়াট বৃত্তিহিন মামলা থেকে অব্যাহিত দেওয়া হোক। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ঈদগাঁও থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন,এঘটনায় মামলা হয়েছে। তদন্ত পূর্বক আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে