শেরপুর প্রতিনিধি : শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ৫ জন চিকিৎসক দিয়ে চলছে চিকিৎসা সেবা। ২০১৫ সনের ১৭ অক্টোবর তৎকালীন স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নিত করে উদ্বোধন করেন।
হাসপাতালের তথ্যমতে জানা যায়, উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের চিকিৎসক থাকার কথা আবাসিক মেডিকেল অফিসার, জুনিয়র কনসালটেন্ট সার্জারি, জুনিয়র কনসালটেন্ট মেডিসিন, জুনিয়র কনসালটেন্ট গাইনি, জুনিয়র কনসালটেন্ট এনেসথেসিয়া, জুনিয়র কনসালটেন্ট কার্ডিওলজি, জুনিয়র কনসালটেন্ট অর্থোসার্জারী, জুনিয়র কনসালটেন্ট শিশু, জুনিয়র কনসালটেন্ট চক্ষু, জুনিয়র কনসালটেন্ট এন.টি, জুনিয়র কনসালটেন্ট চর্ম ও যৌন, ডেন্টাল সার্জারি ও টেকনোলজিট ল্যাব।
শুধু ডেন্টাল সার্জন ছাড়া কোন কনসালটেন্ট ডাক্তার নেই। নার্সিং সুপারভাইজার, সিনিয়র স্টাফ নার্স, প্রধান সহকারী একাউন্ট, চিকিৎসা সহকারী, মেডিকেল টেকনোলজি রেডিওগ্রাফার, টেকনোলোজিষ্ট (ল্যাব) টেকনোলজিস্ট ডেন্টাল, টেকনোলোজিষ্ট ই.পি.আই, ফার্মাসিষ্ট কার্ডিওগ্রাফার, কম্পাউন্ডার অফিস সহকারী কাম মুদ্রাক্ষরিক, পরিদর্শক, হার্বাল সহকারী, জুনিয়র নার্স, ড্রাইভার, জুনিয়র মেকানিক, ওয়ার্ড বয়, আয়া, ল্যাব এটেন্ডেন্ট, অটি বয়/ অটি এটেন্ডট, ইমার্জেন্সী এটেন্ডেন্ট কুক মশালচি, মালি, নিরাপত্তা প্রহরী, সুইপার, এম.এল.এস.এস. সহ প্রয়োজনীয় জনবল নেই।
ইউনিয়ন উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ভবন না থাকায় সকল উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ডাক্তারদের কে ডেপুটেশনে এনে হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা দেয়া হচ্ছে। ৫০ শয্যা হাসপাতাল পরিপূর্ণ থাকলে প্রসূতিদের সিজারের জন্য শেরপুর যেতে হতো না। এ উপজেলায় প্রায় ৩ লক্ষ জনগনের বসবাস।
অটির জন্য এ্যানেসথেসিয়া মেশিন, ওটি টেবিল, এক্স রে মেশিন, ৫০ টি ব্যাড ও ৫০টি ডাইড চালু আছে। রয়েছে বেবি-ইন কিউর বেটর মেশিনসহ ফটো থেরাপী মেশিন।
অপরদিকে হাসপাতাল চত্বর নিচু থাকায় বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় দুর্ভোগ বেড়ে যায়। এছাড়াও রয়েছে নানা সরঞ্জাম অভাব।
এব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ রেহমা সারওয়াত সালাম সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেন-দৈনিক ৫-৬ শ রোগীর চিকিৎসা দেওয়া হয়। ৫০ শয্যা হাসপাতাল হিসাবে ভবনে যে পরিমাণ রুম থাকা প্রয়োজন তা নেই। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স, আয়া ও এমএলএসএস না থাকায় রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেওয়া কষ্টকর হচ্ছে। বর্তমানে ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের জনবলের চেয়েও কম সংখ্যক এখানে রয়েছে। দ্রুত ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মচারী পদায়ন করা একান্ত প্রয়োজন। অনুপস্থিতির বিষয়টি কর্তৃপক্ষ দেখ ভাল করেন।
উল্লেখ্য যে, এম.ও/সহকারী সার্জন ডাক্তার ফারজানা নাজ ০১/০৭/১০ তারিখে নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদান করেন। ০৫/০৭/১০ তারিখে যোগদান হতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। তার পদটি এখনো শূন্য দেখানো হয়নি। হাসপাতালের একটি সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান- ডাক্তার ফারজানা নাজ বর্তমানে ফ্রান্সে অবস্থান করছেন।
এম.ও/সহকারী সার্জন ডাক্তার মঞ্জুরুল করিম ১৮/১১/০৮ তারিখে নালিতাবাড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স যোগদান করেন। তিনি ১৪/১১/১১ তারিখে যোগদান হতে অনুমতি ছাড়াই অনুপস্থিত রয়েছেন। কর্তৃপক্ষের কাছে সচেতন মহলের দাবি দ্রুত সব সমস্যা সমাধান করে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসা সেবা দেওয়া হোক।