নিজস্ব প্রতিবেদকঃ সওজ নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আবুল কাশেম মোহাম্মদ নাহিন রেজার কর্মস্থানে দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে মন্ত্রণালয় কর্তৃক দুবার দণ্ডপ্রাপ্ত হন, তারপরও থামেনি দুর্নীতি। নাহিন সড়ক বিভাগের সিনিয়র জুনিয়র কাউকেই পাত্তা দেন না এ বলে অনেকের অভিযোগ রয়েছে। মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় সাজাও তাকে আটকাতে পারেনি। দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিতে ডি কে এম নাহিন রেজার দুর্নীতি এবং অনিয়মের অনুসন্ধান পূর্বক প্রতিবেদন প্রকাশ করার পর মন্ত্রণালয়ের সচিব নির্দেশ দেন। সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপসচিব নাজনীন ওয়ারেশকে প্রধান করে কমিটি গঠন করেন। কমিটির পক্ষ থেকে দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার বিশেষ প্রতিনিধি মুস্তাকিম নিবিড় কে বক্তব্য প্রদানের জন্য ১৬/৪/২৩ তারিখে মন্ত্রণালয়ে যাবার জন্য অনুরোধ করা হয়। মুস্তাকিম নিবিড় যথাযথ মাধ্যমে তদন্ত কমিটির সামনে উপস্থিত হলে তদন্ত কমিটির প্রধান নাজনীন ওয়ারেস এবং প্রকৌশলী মনিটরিং সার্কেল মেহেদী হাসান তাকে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্নবানের জর্জরিত করে, যা সংবাদপত্র ও সাংবাদিকতার নীতিমালা বিধি বিধানের পরিপন্থী। কমিটির প্রধান এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী পরিবেশ এতটাই উত্ত্যক্ত করেন যে সেখানে রীতিমতো মুস্তাকিম নিবিড় কে অসম্মানিত করা হয়। দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি এতে অপমানিত হয়েছে, দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার কর্তৃপক্ষকে হেয় করা হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এ ঘটনার পর তদন্ত কমিটির প্রধান নাজনীন ওয়ারিশকে বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি কোন প্রকার জবাব না দিয়ে বলেন সচিব সাহেবের কাছে গিয়ে বলুন, তাতে আমার কি আসে যায়?
দুর্নীতি ও অনিয়মের সংবাদ প্রকাশের বিষয়ক তদন্ত কমিটির সদস্য তিনি রিপোর্টারের সঙ্গে ঔদ্ধতপূর্ণ আচরণ করেছেন এজন্য দুঃখ প্রকাশ করবেন কিনা? এ প্রসঙ্গে তিনি কিছুই বলেননি। বরং বিষয়টি সচিব কে জানানোর কথা বলা হলে, নাজনীন ওয়ারিশ সচিব স্যারের কাছে গিয়ে বলেন ,কি হবে?
এরপর সড়ক ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নূরীকে ঘটনাটি অবহিত করা হলে তিনি দৈনিক জাতীয় অর্থনীতিকে বলেন তদন্ত কমিটি ভায়েস্ট হলে আরেকটি কমিটি গঠন করে দেব। দুর্নীতি এবং অনিয়মের প্রশ্নে কোন ছাড় নয়। তিনি বলেন দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার রিপোর্টারকে তদন্ত কমিটির সামনে তথ্য ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে, অপমানিত করার জন্য নয়। পুনরায় এরকম ঘটনা ঘটলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
প্রকৌশলী নাহিন রেজার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদের মালিক হওয়া সহ পূর্বেকার মন্ত্রণালয়ের বিভাগীয় মামলার বিস্তারিত আসছে পরবর্তী প্রতিবেদনে।