সংবাদপত্রশিল্পে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত নিউজপ্রিন্ট আমদানি পর্যায়ে ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (নোয়াব)। এ ছাড়া নোয়াবের পক্ষ থেকে বর্তমান সংবাদপত্র প্রতিষ্ঠানের ওপরে আরোপিত সাড়ে ৩২ শতাংশ করপোরেট কর কমিয়ে ১২ থেকে ১৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়।
আজ বুধবার আগামী অর্থবছরের (২০২১-২২) জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চলমান বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে নোয়াব নেতারা এ দাবি জানান। নোয়াবের পক্ষে দাবিগুলো উপস্থাপন করেন সংগঠনের সভাপতি ও সমকাল–এর প্রকাশক এ কে আজাদ। নোয়াবের দাবি, করোনার কারণে এক বছর ধরে সংবাদপত্রশিল্প ধুঁকছে। প্রচারসংখ্যা কমে গেছে।
অনলাইনে ভার্চ্যুয়াল উপায়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম।
নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ বলেন, সংবাদপত্রের মূল কাঁচামাল হলো কাগজ। কিছু শিল্পের মূল কাঁচামালের ওপর শূন্য শুল্ক আছে। কিন্তু সংবাদপত্রের কাঁচামাল কাগজের ওপর ৫ শতাংশ শুল্ক দিতে হয়। এর পাশাপাশি ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ সব মিলিয়ে ৩০ শতাংশ কর দিতে হয়। করোনার কারণে এখন সংবাদপত্র প্রকাশের খরচ মেটানো অসাধ্য হয়ে পড়েছে।
নোয়াবের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক ও প্রকাশক মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘করোনা সংবাদপত্রশিল্পে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এমন পরিস্থিতিতে আমরা এনবিআরের সহায়তা চাই।’ তিনি কাগজের আমদানি শুল্ক ও করপোরেট কর কমানোর দাবি জানান।
এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন নোয়াব সদস্য ও সংবাদ–এর সম্পাদক আলতামাশ কবির, বণিক বার্তার সম্পাদক ও প্রকাশক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ।
একই অনুষ্ঠানে অ্যাসোসিয়েশন অব টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স (অ্যাটকো) বাজেট প্রস্তাব দেয়। অ্যাসোসিয়েশনের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোজাম্মেল বাবু সংবাদপত্রের মতো টিভি চ্যানেলকেও শিল্প হিসেবে ঘোষণার দাবি জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে টেলিভিশন প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন পর্যায়ে ১০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হয়। কিন্তু পরে তা করপোরেট করের সঙ্গে সমন্বয় করা যায় না।
অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য মাসুদ সাদিক, আলমগীর হোসেনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।