সেমিফাইনালের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবার লক্ষ্যে এবার মুখোমুখি শক্তিশালী দুই দল নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। ৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে, এক ধাপ পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ৬ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট পাওয়া নিউজিল্যান্ড। বুধবার (১ নভেম্বর) পুনেতে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে শুরু হবে ম্যাচটি।
সর্বশেষ পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরেছিল নিউজিল্যান্ড। হ্যান্সি ক্রোনিয়ের অধীনে খেলা সেই দল স্টিফেন ফ্লেমিংয়ের নিউজিল্যান্ডকে ৭৪ রানে হারিয়েছিল। এরপর থেকেই ২০ বছর ধরে যেন খেই হারিয়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। এরপর ২০০৩ সাল থেকে বিশ্বকাপে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে একটানা জয় নিউজিল্যান্ডের।
বিশ্বকাপে আগের আটবারের লড়াইয়ে ছয়বার জিতেছে কিউইরা। দু’বার জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৭১ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের জয় ২৫টিতে, দক্ষিণ আফ্রিকা জিতেছে ৪১টিতে এবং পাঁচটি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। চলতি বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে এগিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে আজ নিজেদের সপ্তম ম্যাচে মুখোমুখি হচ্ছে দল দু’টি।
শ্রীলঙ্কা ও অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম দুই ম্যাচ জয়ের পর নেদারল্যান্ডসের কাছে ৩৮ রানে হারের লজ্জা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর টানা তিন ম্যাচ জিতে নেয় বাভুমা-মার্করামরা। ইংল্যান্ড, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের বিপক্ষে জয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে খেলার পথে ভালোভাবেই টিকে আছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
সর্বশেষ ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে ১ উইকেটে জিততে ঘাম ঝরালেও, এবারের আসরে রানের বন্যা বইয়ে দিয়েছেন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। ছয় ম্যাচে চারবার তিন শতাধিক রান করে। এর মধ্যে নিজেদের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান করেছিল। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাত্র ১ রানের জন্য দ্বিতীয়বার ৪০০ স্পর্শ করতে পারেনি।
বিশ্বকাপে এ পর্যন্ত ছয় ইনিংসে তিনটি সেঞ্চুরিতে ৪৩১ রান করে সর্বোচ্চ রানের মালিক দক্ষিণ আফ্রিকার কুইন্টন ডি কক। এ ছাড়া আইডেন মার্করাম ছয় ইনিংসে একটি সেঞ্চুরি ও তিনটি হাফ সেঞ্চুরিতে ৩৫৬ রান নিয়ে পঞ্চম স্থানে। বোলিংয়ে দুই পেসার জানসেন ১৩টি ও কোয়েৎজি ১২ উইকেট শিকার করেছেন। রাবাদার ঝুলিতে আছে ১০ উইকেট।
মিডল অর্ডার ব্যাটার মার্করাম বলেন, আমাদের লক্ষ্য জয়ের ধারা অব্যাহত রাখা। টানা চতুর্থ জয় তুলে নিতে চাই আমরা। সেমির দৌড়ে ভালোভাবে টিকে থাকতে হলে এ ম্যাচেও জিততে হবে আমাদের। নিউজিল্যান্ড ভালো ক্রিকেট খেলছে। নিজেদের পরিকল্পনাগুলো ভালোভাবে কাজে লাগাতে পারলে, জয় অসম্ভব নয়।
দুর্দান্তভাবে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রথম চার ম্যাচেই জয় পেয়েছিল তারা। পঞ্চম ম্যাচে ভারতের কাছে ও ষষ্ঠ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাজিত হয় পথ হারায় নিউজিল্যান্ড। সর্বোচ্চ রানের মালিক রবীন্দ্র দুইটি করে সেঞ্চুরি ও হাফ সেঞ্চুরিতে ৪০৬ নিয়ে তালিকায় তৃতীয় স্থানে তিনি। বোলিংয়ে স্পিনার মিচেল স্যান্টনার ১৪ উইকেট শিকার করেছেন। ১১ উইকেট আছে পেসার ম্যাট হেনরির। স্যান্টনার বলেন, ‘টানা চার ম্যাচ জয়ের পর দু’টি হার আমাদের চাপে ফেলেছে। প্রোটিয়াতের হারাতে সেরা ক্রিকেটই খেলতে হবে।