নিউজিল্যান্ডের উত্তরাঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ব্যাপক অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন । ঘূর্ণিঝড় গ্যাব্রিয়েল আঘাত হানায় দেশটির ইতিহাসে তৃতীয়বারের মতো জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, পানির স্তর বাড়তে থাকায় মানুষ বাড়ির ছাদে আটকা পড়েছে, ভূমিধসে বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে এবং রাস্তাগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। কয়েকটি এলাকায় মোবাইল ফোন পরিষেবাও বন্ধ রয়েছে।
জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর মঙ্গলবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী ক্রিস হিপকিন্স বলেন, নিউজিল্যান্ডবাসীর জন্য এটি একটি ভয়াবহ রাত গেছে, বিশেষ করে উত্তর অঞ্চলে… অনেক পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে, অনেক বাড়িঘর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এবং দেশজুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দুর্গতদের সামলাতে জরুরি পরিষেবাগুলো লড়াই করছে। এ অবস্থায় জরুরি অবস্থা ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী কিরেন ম্যাকঅ্যানাল্টি। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ছয়টি অঞ্চলে আরও সহায়তা পৌঁছাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, এটি একটি নজিরবিহীন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যা নর্থ আইল্যান্ডের বেশির ভাগ অংশে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। এ কারণে বড় ধরনের বন্যা দেখা দিয়েছে, রাস্তা ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ম্যাকঅ্যানাল্টি বলেন, গত রাতে আসা আবহাওয়ার প্রতিবেদনগুলো গভীর উদ্বেগজনক।
হিপকিন্স বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কতজন বাস্তুচ্যুত বা আহত হয়েছেন, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। এ ছাড়া নিহতের বিষয়টিও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
সূত্র : আলজাজিরা