বিএনপি বলেছিল তাদের জোটের সঙ্গীদের নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি সঙ্গীরাই তাদের ছেড়ে চলে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বুধবার মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে কয়েকটা দল তাদের জোট থেকে বের হয়ে গেছে। নয়াপল্টনের কার্যালয়ে তালা সরকার কিংবা আওয়ামী লীগ লাগায়নি। বিএনপি নিজেদের লাগানো তালা নিজেরাই খোলার জন্য একজন মানুষ খুঁজে পাচ্ছে না। যে দল নিজেদের কার্যালয়ের তালা খোলার জন্য একজন মানুষ পর্যন্ত খুঁজে পায় না, তাদের মুখে দুর্বার আন্দোলনের ঘোষণায় লোকজন হাসছে।’
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। রাঙ্গুনিয়া সদরের অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের আহ্বায়ক এম. ইসকান্দর মিয়া তালুকদার।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ইসরায়েল ১৪ হাজার মানুষ মেরে ফেলেছে, তার মধ্যে সাড়ে ৯ হাজার শিশু এবং নারী। ইহুদিরা কিংবা ইসরায়েলিদের যারা মদত দেয় তারা রাগ করবে বলে বিএনপি তাদের বিরুদ্ধে একটি বিবৃতি পর্যন্ত দেয়নি, একটি কথাও বলেনি। তাদের ওপর আল্লাহর আরশের গজব নাজিল হয়েছে। অথচ গাজায় শিশু ও নারীদের হত্যার বিরুদ্ধে তেলআবিবে স্বয়ং ইহুদিরাই প্রতিবাদ জানিয়েছে, মিছিল করেছে। আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছেন। আমি প্রতিদিন দল ও সরকারের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছি।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য অনেক অপচেষ্টা হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে যে উৎসাহ উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে সেটি অভাবনীয়। বিএনপি এখন ইঁদুরের ন্যায় গর্তে ঢুকে গেছে। গর্ত থেকে উপরের দিকে উঁকি দিয়ে কদিন পরপর কর্মসূচি দেয়। তাদের কর্মসূচি কী? গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো এবং স্কুলে আগুন দেওয়া। তাই তাদের সঙ্গে এখন আর মানুষ নেই।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে পানির নিচ দিয়ে এভাবে টানেল নেই, কক্সবাজারেও ট্রেন গেছে। আজ থেকে ১৩৩ বছর আগে কক্সবাজারে ট্রেন নেওয়ার জন্য সমীক্ষা হয়েছিল, কিন্তু বাস্তবায়ন হয়নি। আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সেটি বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন।’
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বিএনপি নেতারা পদ্মা সেতু দিয়ে গাড়ি চালিয়ে ওপারে গিয়ে বক্তব্য দেন দেশে কিছুই হয়নি। একইভাবে বঙ্গবন্ধু টানেল দিয়ে কিংবা ট্রেনে চড়ে কক্সবাজারে যাবেন তারাও। তবে তাদের উচিৎ হবে তওবা করে টানেল ও ট্রেনে চড়া।’
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সদস্য সচিব এস এম আবুল ফজল ও যুগ্ম আহ্বায়ক মাস্টার রশীদ আহমদ। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি এম হারুণ উর রশিদ, সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোহাম্মদ শফিউল আলম, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম চিশতি, পৌর মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আালী শাহ, ইদ্রিস আজগর, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খান, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমুখ।