চলতি বছরের জুলাইয়ে হুট করেই অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তামিম। প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও নানা নাটকীয়তায় ওয়ানডে বিশ্বকাপে খেলা হয়নি এই ক্রিকেটারের। সেসব ঘটনার অনেকদিন পেরোনোর পর হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতির সাথে তামিমের আবারও সাক্ষাৎ ক্রিকেট পাড়াতে উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে। আজ (সোমবার) বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন দেশ সেরা ওপেনার। তবে ঠিক কী কারণে বিসিবি সভাপতির সান্নিধ্যে আসা, তা জানা যায়নি। তবে নানা গুঞ্জন রটেছে ক্রিকেট পাড়ায়। এরই মাঝে বিকেল ৫টায় বিসিবি প্রধানের সঙ্গে আলোচনা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তামিম।
গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তামিম বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর আমার ভবিষ্যৎ নিয়ে একটা পরিষ্কার সিধান্ত নেওয়া দরকার ছিলো আমার কাছে মনে হয়েছে। কারণ আমার ক্যারিয়ারে আমি কখনও এমন দ্বিধাদ্বন্দের পরিস্থিতির ভিতর দিয়ে যায়নি। আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের সব জিনিস পাব্লিকলি জানিয়েছি এবং পরিষ্কার রেখেছি সব। এই বিষয় গুলা নিয়ে আরও আগে বসার কথা ছিলো, তবে আমার ব্যস্ততা থাকায় এর সঙ্গে নির্বাচনীয় কাজের জন্য এটা দেরি হয়েছে।’
এদিকে কালকে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগে এই সংবাদ সম্মেলন ঠিক না বলে বলেন, আজকে সঠিক সময় না সংবাদ সম্মেলনর। তবে যেহুতে বৈঠকে হয়েছে একটা বিবর্তি আসা উচিত ছিলো তাই এই সংবাদ সম্মেলন। আমি ক্ষমা চাচ্ছি যে, খেলার একদিন আগে তা বলতে হচ্ছে। বাংলাদেশ দল ও আমার জন্যেও তা গুরুত্বপূর্ন যে এটার প্রভাব খেলায় না পড়ুক।’
ক্রিকেটে ভবিষ্যৎ নিয়ে তামিম বলেন, ‘আমার ভবিষ্যত নিয়ে একটা সিদ্ধান্ত আমি অবশ্যই নিয়ে ফেলেছিলাম। এটা কমবেশি সবাই জানেন। আমার একটা বোঝাপড়া ছিল। বোর্ডের জন্য অপেক্ষা ছিল এতদিন। আমার কী কী সমস্যা ছিল এসব নিয়ে কথা হয়েছে। আমি বলেছি আমি কী করতে চাই। জানুয়ারি পর্যন্ত উনি (পাপন) আমাকে থামতে বলেছেন।’
এ সময় ২২ গজে ফেরা নিয়ে দেশ সেরা ওপেনার বলেন, ‘আমি হয়তো বিপিএল দিয়ে ক্রিকেটে ফিরব। এরপর আপনারা জানতে পারবেন। বিসিবি সভাপতির সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে আলোচনার পর আমি আমার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি। উনারা যা বলেছেন সেটার সম্মান রাখতে হবে আমাকে। আমি আজকেই বলে দিতে পারতাম। কিন্তু যেহেতু একটা কথা হয়েছে সেটা রাখতে হবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলার নেই।’