নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত ৩০টি দল নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি নিয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
নির্বাচনে অংশ নিতে যাওয়া দলগুলো হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি- জেপি (মঞ্জু), গণতন্ত্রী পার্টি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, বাংলাদেশের সাম্যবাদী দল (এম.এল), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ (ইনু), জাকের পার্টি, বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি (এনপিপি), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (মুকিত), ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, ইসলামী ঐক্যজোট (মুফতী আমিনী প্রতিষ্ঠিত), বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন (এনডিএম), বাংলাদেশ কংগ্রেস, তৃণমূল বিএনপি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি), বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম), ও গণফোরাম।
এর বাহিরে তফসিল পরিবর্তন হলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। এ ছাড়া বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ও খেলাফত মজলিস এই দুটি দল নির্বাচনে অংশ নেবে কি না, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি। আর ১৪ দলের শরিক বাংলাদেশ জাসদ এখনও দরকষাকষিতে আটকে রয়েছে।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেন, নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি অংশ নিচ্ছে, তাই নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হতে যাচ্ছে। আমরা একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে চাই। এজন্য সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। এবারের নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। কিন্তু তাদের বিচারিক ক্ষমতা থাকবে না বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল গত ১৫ নভেম্বর সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। তফসিল অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট অনুষ্ঠিত হবে।