পদ্মাসেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হবে, বিশ্ব ব্যাংকসহ সব বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো (বিএনপি ও তাদের সহযোগী সংগঠন, ডান, বাম) দাওয়াত পাবে।
শনিবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে ‘গ্রাজুয়েশন অব উইমেন ড্রাইভার এ স্টেপ টোয়ার্ডস রোড সেফটি’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, আগামী ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্ধোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর জন্য আমরাও অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি একটা বড় রাজনৈতিক দল, তারা নির্বাচনে আসুক এটা আমরাও চাই। ক্ষমতার পরিবর্তন চাইলে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে। এখন নির্বাচনে অংশ না নিয়ে যদি মনে করেন হত্যা সন্ত্রাসের পথে থাকবেন, যদি মনে করেন শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়ে ষড়যন্ত্রের চোরাগলি দিয়ে আপনারা ক্ষমতার মসনদে বসবেন, তাহলে আপনাদের এ রঙিন খোয়াব দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে।
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আন্দোলনের নামে রাস্তার ভাষায় কথা বলে বিএনপি। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তারা পঁচাত্তরের হাতিয়ার গর্জে উঠুক আরেকবার বলছে। তারা ১৫ আগস্টের পুনরাবৃত্তি করবে, দেশে-বিদেশে এ ধরণের বক্তব্য যে তারা দিচ্ছিল, আমি বলেছিলাম মির্জা ফখরুল সাহেব আপনি দলের মহাসচিব। আপনার দলের এ তরুণ-তুর্কিদের সামলান। এ ধরণের শ্লোগান দিলে হত্যা ও রাজনীতির পরিণাম হবে ভয়াবহ। আমি ফখরুল সাহেবকে বলেছি, এভাবে চলতে থাকলে পরিণতি কি হবে তা দেখতে পাবেন। পরিণতি কার খারাপ হবে সেটা বাস্তবেই দেখতে পাবেন।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধগতি নিয়ে বিএনপির সমলোচনার জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির কিছু নেতা আবোলতাবোল বকছেন, তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। মাথা খারাপ হওয়ার কারণ পদ্মা সেতু। তারা পদ্মা সেতুকে সহ্য করতে পারছেন না। শুধু তাই নয়, তারা মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েকে সহ্য করতে পারছে না।
তিনি বলেন, বাস র্যাপিড ট্রানজিড তারা জীবনে দেখেও নাই, করেও নাই। শেখ হাসিনা করছেন এজন্য তাদের বুকে বিষ ব্যথা হচ্ছে। ব্যাথা আর জ্বালায় বিএনপি জ্বলছে। তাদের বলা এসব কথার মূল্য নেই। তারা হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে এসব উদ্ভট কথা বলছেন।