প্রতিদিনের মতো অবস্থা একই। প্রথম প্রহরে মানুষ নেই, দ্বিতীয় প্রহরে মেলা চুপচাপ। শেষ দিনেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতির কারণে প্রায় নীরবেই শেষ হলো এবারের অমর একুশে বইমেলা।
সোমবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে তথ্যকেন্দ্রের ঘোষণার মধ্য দিয়ে খুব সাধারণভাবেই শেষ হয় মেলা। করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপ হওয়ায় দু’দিন সময় কমিয়ে ২৬তম দিনে এবার মেলা শেষ হলো।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো এদিনও মেলায় খুব বেশি মানুষের উপস্থিতি ছিল না। হাতে গোনা যারা এসেছেন, তারা মেলার শেষ দিন হওয়ায় বই কিনেই ঘরে ফিরেছেন। আর প্রকাশকরাও প্রস্তুতি নিয়েছেন ফেরার। কেননা প্রকাশকদের মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) দুপুর ৩টার মধ্যে স্টল সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে। তবে বিক্রি ভালো না হওয়ায় অনেকটা মন খারাপ নিয়েই মাঠ ছাড়ছেন প্রকাশকরা।
এ বিষয়ে বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণের লেখক বলছি মঞ্চে সংবাদ সম্মেলন করে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি। এতে সভাপতিত্ব এবং লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল। তিনি জানান, এবারের বইমেলায় মোট বিক্রি হয়েছে মাত্র তিন কোটি ১১ লাখ টাকার। প্রকাশকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ব্যাপকভাবে। ফলে সরকারের প্রতি তারা এসময় ১০০ কোটি টাকার বই কেনার অনুরোধ জানান। তবে বাংলা একাডেমির পক্ষ থেকে বই বিক্রির কোনো হিসাব জানানো হয়নি।
এদিকে অমর একুশে বইমেলার শেষ দিনে নতুন বই এসেছে ৬৪টি। এবারের মেলায় প্রকাশিত সর্বমোট নতুন বইয়ের সংখ্যা ২ হাজার ৬৪০টি।
আজকের বিষয়ভিত্তিক বইগুলো হলো: গল্প-৬, উপন্যাস-৪, প্রবন্ধ-৮, কবিতা-২৯, ছড়া-৪, জীবনী-২, মুক্তিযুদ্ধ-২, নাটক-১,বঙ্গবন্ধু-৪ এবং অন্যান্য-৬টি বই।
এদিকে অমর একুশে বইমেলায় অংশগ্রহণকারী প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে স্টলের নান্দনিক অঙ্গসজ্জায় শ্রেষ্ঠ বিবেচিত তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ‘শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার’ দেওয়া হয়েছে। এসব প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান হলো- উড়কি, সংবেদ এবং কথাপ্রকাশ।