আশীষ বিশ্বাস: নীলফামারীতে প্রাইভেট থেকে বাড়ি ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নবম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুল ছাত্রী।
গত শনিবার বিকেল আনুমানিক ৫ টর দিকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় ডিমলা ফজিলাতুন্নেছা স্কুলের পিছনে এই ঘটনা টি ঘটে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্রে জানা যায় গত শনিবার বিকেলে ৫ টার দিকে স্কুল ও প্রাইভেট শেষে বাড়ি ফেরার পথে ডিমলা স্টারল্যান্ড স্কুলের সামনে এসে পৌছালে সেখানে আগে থেকেই ওৎ পেতে থাকা আদিল শাহারিয়ার ললিতা রায়ের ( ছদ্ম নাম) পথ রোধ করে।
এসময় ললিতাকে ফুসলিয়ে আদিল শাহারিয়ার এবং সৈকত জোর পূর্বক মোটরসাইকেলে তুলে ডিমলা ফজিলাতুন্নেছা স্কুলের পিছনে একটি পরিত্যক্ত টয়লেটের পাশে নিয়ে যায় ।
এবং এসময় তাদের সহযোগী প্রমিত দাস পায়ে হেটে সেই দেয় এবং তার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শ কাতর জায়গায় স্পর্শ করে এবং আদিল শাহারিয়ার সেই ঘটনা টি মোবাইলে ধারন করে ।
পরবর্তীতে সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দিবে বলে জানায় তারা। এতে ললিতা রায় ভয় পেয়ে যায় এবং তারা ললিতাকে জোর পূর্বক আবারো মোটরসাইকেলে তুলে প্রমিত দাসের বাসায় নিয়ে যায়। এবং পরে তারা প্রমিত দাসের বাসায় পালাক্রমে কয়েকজন মিলে তাকে ধর্ষণ করে ।
পরে বিষয় টি পুলিশ জানতে পারলে তাৎক্ষণিক দুই যুবক কে আটক করে ।
পরে রবিবার সন্ধ্যার পর ধর্ষণের শিকার ললিতা রায় এবং তার পরিবার থানায় গিয়ে একটি গণধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। এবং ধর্ষণের শিকার ললিতা রায় কে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নীলফামারীর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
মামলা সুত্রে আরো জানা যায় ডিমলা সদর ইউনিয়নের ডিমলা টেকনিক্যাল ( বিএমআই) স্কুলের ঐ ছাত্রী কল স্কুলে যাতায়াতের পথে প্রমিত দাস নিয়মিত উত্যক্ত করতো। এছাড়াও ললিতা রায় কল মোবাইল ফোনে ও বিরক্ত করতো এবং কুপ্রস্তাব দিতো। এতে কোন সাড়া না পেয়ে প্রমিত দাস সহ অন্য যুবকেরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে গণধর্ষণ করে।
এবিষয়ে ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি দেবাশীষ কুমার রায় এর সাথে কথা হলে বিষয় টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন এঘটনায় তাৎক্ষণিক দুই যুবক কে আটক করা হয়েছে। এবং অন্য আসামি দের কে ও গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।