তরুণ ক্রিকেটার জসস্বি জয়সওয়াল কী ধরনের ব্যাটার, তা কিছুদিন আগেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দেখিয়েছেন। ইনিংস ওপেন করতে নেমে ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলেন। ভারতকে এনে দেন উড়ন্ত সূচনা। এবার এশিয়ান গেমনও মাতাচ্ছেন তিনি। কোয়ার্টার ফাইনালে নেপালের বিপক্ষে করলেন অসারণ এক সেঞ্চুরি।
জসস্বি জয়সওয়ালের সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ভারত নেপালকে হারিয়েছে ২৩ রানের ব্যবধানে এবং পৌঁছে গেল গেমসের সেমিফাইনালে।
টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান তোলে ভারত। ৯ উইকেট হারিয়ে নেপাল করে ১৭৯ রান। ৪৯ বলে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন জসস্বি জয়সওয়াল।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ২০২ রান করে ভারত। উদ্বোধনী জুটিতেই জয়সওয়াল এবং রুতুরাজ গায়কোয়াড় মিলে ১০৩ রান তুলে ফেলেন। ২৩ বলে ২৫ রান করে আউট হয়ে যান গায়কোয়াড়। এশিয়ান গেমসে ভারতীয় ক্রিকেট দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
এরপরই ছন্দ কেটে যায় ভারতের। মাত্র ১৬ রানের ব্যবধানে অধিনায়ক রুতুরাজসহ তিন উইকেট হারায় তারা। তিলক বার্মা করেন মাত্র ২ রান। জিতেশ শর্মা করেন ৫ রান। তারা আউট হলেও বড় রান তোলার কাজটা চালিয়ে যান জসস্বি।
৪৯ বলে ১০০ রান করে আউট হন তিনি। আটটি বাউন্ডারি এবং সাতটি ছক্কা মারেন তিনি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি তার দ্বিতীয় শতরান। প্রথম শতরান করেছিলেন টেস্টে। ভারতের রঙিন জার্সিতে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।
যজস্বি আউট হওয়ার পরে মাঠে নামেন রিঙ্কু। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে নজর কাড়া ব্যাটার নেপালের বিরুদ্ধে ১৫ বলে ৩৭ রান করেন। চারটি ছক্কা মারেন রিঙ্কু। দু’টি চার মারেন তিনি। শেষ বেলায় দ্রুত রান তুলে দলকে ২০০-এর গণ্ডি পার করেন রিঙ্কু।
ব্যাট হাতে ভারতীয় বোলারদের চাপে ফেলে দেন নেপালের ব্যাটাররা। জয়ের মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিলেন তারা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারত এবং নেপালের তুলনা করা কঠিন। ক্রিকেটীয় দক্ষতায় ভারতের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে থাকা দল কিন্তু শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেল।
দিপেন্দ্র সিং আইরি, কুশল মাল্লা, সন্দিপ জারার মতো ব্যাটাররা ভারতীয় বোলারদের বিরুদ্ধে একের পর এক বাউন্ডারি হাঁকাতে শুরু করেন। তবে তাদের আউট করার পর লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা দলকে ভরসা দিতে পারলেন না। নেপালের লড়াই যদিও মন জয় করে নিয়েছে ক্রিকেটপ্রেমীদের।