নেপালে পর্যটকবাহী একটি হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়। এতে ছয় আরোহীর সকলেই নিহত হয়েছেন।
উড্ডয়নের পর পরই হেলিকপ্টারটি এভারেস্ট পর্বতমালার কাছাকাছি লিক্ষু স্থানে বিধ্বস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ।
নেপালের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে আরো জানিয়েছে, ‘দ্য মানাং’ এয়ারের হেলিকপ্টারটি লুকলা থেকে রাজধানী কাঠমান্ডু যাচ্ছিল। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় ১০টা ৪ মিনিটে উড্ডয়নের প্রায় ১০ মিনিটের মাথায় হেলিকপ্টারের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
হেলিকপ্টারে মেক্সিকোর একই পরিবারের পাঁচজন এবং নেপালের একজন বৈমানিক ছিলেন।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জেনারেল ম্যানেজার প্রতাপ বাবু তিওয়ারি জানান, ছয়টি লাশ উদ্ধার করে কাঠমান্ডু নিয়ে আসা হয়েছে।
উদ্ধারকাজে দু’টি হেলিকপ্টার মোতায়েন করা হয়েছে। তবে খারাপ আবহাওয়ার কারনে হেলিকপ্টারগুলো অবতরণ করতে পারেনি।
দেশটির প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে টুইটারে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী পুষ্প কমল দাহাল এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন।
মানাং এয়ারের মুখপাত্র রাজু নিউপান বলেন,‘ভালো আবহাওয়ার মধ্যেই হেলিকপ্টারটি উড্ডয়ন করে। তবে কি কারণে এটি বিধ্বস্ত হয়েছে তা আমরা এখনও জানতে পারিনি।
উল্লেখ্য, নেপালের পার্বত্য এলাকার আবহাওয়া পরিস্থিতি দ্রুতই পাল্টে গিয়ে ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এছাড়া অপর্যাপ্ত প্রশিক্ষণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের অভাবেও নেপালে উড্ডয়নের নিরাপত্তায় ভয়ংকর ঘাটতি রয়েছে।
এই নিরাপত্তা ঘাটতির কারনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তার আকাশ সীমায় নেপালের সকল এয়ারলাইন্সকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে।
এদিকে এই পার্বত্য দেশটির প্রত্যন্ত অঞ্চলে বেশ কিছু জটিল রানওয়ে আছে, যেখানে উড়োজাহাজ বা হেলিকপ্টার চালানো খুবই কঠিন।
মাত্র ছয় মাস আগে দেশটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় ৭২ যাত্রীর সবাই প্রাণ হারিয়েছিলো।