নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো.
দিদার-উল-আলম নোবিপ্রবিতে যোগদানের পর থেকে সুদক্ষ নেতৃত্ব, বুদ্ধিমত্তা, সততা এবং নিষ্ঠার
সাথে শিক্ষা ও গবেষণায় বিশ্ববিদ্যালয়টিকে সফলতার সাথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন।
গত ১৬ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ২০২২ নোয়াখালী প্রেসক্লাবে একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকরা বিগত
সময়ের নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উপাচার্য মহোদয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ
করেন। উপাচার্য বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে হলে দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে
আমাদেরকে সব সময় সজাগ থাকতে হবে। এসময় উপাচার্য মহোদয় নোবিপ্রবির বিভিন্ন সমস্যা,
সম্ভাবনা, সফলতা এবং অর্জন নিয়েও কথা বলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের
বক্তব্যের কিছু খ-িতাংশকে বিকৃতভাবে উদ্ধৃত করে কয়েকটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল সংবাদ
প্রকাশ করে, তাদের সংবাদের শিরোনাম ও মূল সংবাদের সাথে অমিল রয়েছে, যা আমাদের দৃষ্টিগোচর
হয়েছে। আমরা মনে করি, এভাবে খ-িত বক্তব্যের সংবাদ প্রচারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তি
তৈরি হতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ উক্ত বিকৃত সংবাদের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছে এবং
প্রতিবাদলিপি আপনার মিডিয়ায় যথাযথ স্থানে প্রকাশের আহবান করছে।
করোনা মহামারিতেও যখন পুরো পৃথিবী স্থবির হয়ে পড়েছে, তখন মাননীয় উপাচার্য মহোদয়ের
ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় শিক্ষকদের দক্ষতা ও আন্তরিক সহযোগিতায় অনলাইনে ক্লাস, পরীক্ষা আয়োজনের
মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এছাড়াও কোভিড ল্যাব স্থাপনের
মাধ্যমে জাতীয় স্বাস্থ্যসেবায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে নোবিপ্রবি। করোনা টেস্টে
শতভাগ সাফল্যের জন্য নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় নোয়াখালীসহ সারাদেশে ব্যাপক
প্রশংসিত হয়েছে। দেশ-বিদেশের প্রখ্যাত জার্নালসমূহে নোবিপ্রবি শিক্ষকদের আবিষ্কার ও মূল্যবান
গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশিত হচ্ছে, যা দেশের শিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করছে। বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরী কমিশনের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির প্রতিবেদনেও নোবিপ্রবি দেশের সেরা
বিশ্ববিদ্যালসমূহের সাথে র্যাংকিং-এ অনেক এগিয়ে গেছে।
তাই সকলের জ্ঞাতার্থে আমরা বলতে চাই, বিভ্রান্তিকর ও খ-িত বক্তব্যের বিকৃত শিরোনামের সংবাদ
বিষয়ে কারো মধ্যে যেন ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি না হয় সেই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। আমরা সকলে
বিশ্ববিদ্যালয়, সমাজ তথা দেশের প্রতি নিজেদের দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ
করলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনার ভিশন ২০৪১ অর্জন করা সম্ভব বলে মনে করি।