নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) কর্মকর্তাদের নয় সদস্যের একটি
প্রতিনিধিদল ইউরোপীয় ইউনিয়নের ইরাসমাস ‘স্টাফ এক্সচেঞ্জ’র অধীনে ইতালির ফোজ্জিয়া
বিশ্ববিদ্যালয়ে ০৭ জুন থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ‘অন্তর্জাতিক সপ্তাহ-২০২২’ এ অংশগ্রহণ করছে। এ
বছর ৩৫টিরও বেশি দেশ থেকে প্রায় ৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৫৭ জন অংশগ্রহণকারী এই প্রোগ্রামে
যোগ দিয়েছেন। প্রোগ্রামের অংশ হিসেবে নোবিপ্রবির বিশেষ প্রতিনিধিদল নিজেদের বক্তব্য
প্রদান করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের সংস্কৃতি উপস্থাপন করে। একই সাথে সেমিনারে
অংশগ্রহণ, প্রশাসনিক কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়, শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময় কার্যক্রম, আন্ত-
সাংস্কৃতিক কার্যক্রম, আলোচনা, শহর পরিদর্শন এবং ইতালিয়/ইউরোপীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে জ্ঞান
অর্জনের সুযোগ লাভ করেন। কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সম্পর্ক
উন্নয়নে এবং পারস্পরিক সহযোগীতা বৃদ্ধিতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধিদের সাথে
মতবিনিময় করেন এবং ভবিষ্যত সহযোগীতার আশ্বাস সহ শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় করেন। প্রশিক্ষণের
এক পর্যায়ে নোবিপ্রবি কর্মকর্তবৃন্দ আয়োজক ফোজ্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেক্টর প্রফেসর ড.
পিয়ারপাওলো লিমোনির সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং নোবিপ্রবির পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা স্মারক তুলে দেন।
নোবিপ্রবি প্রতিনিধি দলের সদস্যরা হলেন উক্ত কার্যক্রমের সমন্বয়ক সহকারী রেজিস্ট্রার ও ইন্টারন্যাশনাল
কোলবোরেশন অফিসার জনাব আবু জুবায়ের, সংস্থাপন শাখার উপ-রেজিস্ট্রার জনাব তারেক মোঃ রাশেদ
উদ্দিন, সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জনাব মেসবাহ উদ্দিন, শরীরচর্চা শিক্ষা বিভাগের সহকারী পরিচালক
জনাব মাহমুদুর রহমান, ডিপিডি অফিসের সহকারী পরিচালক জনাব জিয়াউর রহমান ভূঁইয়া, হিসাব
শাখার সহকারী রেজিস্ট্রার জনাব কেএম মেহেদী হাসান, সহকারী প্রকৌশলী- বিদ্যুৎ জনাব মোঃ আবু
নাছের, সেকশন অফিসার জনাব ইয়াছিন আরাফাত ও সহকারী হিসাবরক্ষক জনাব মোহাম্মদ সবুজ
উদ্দিন।
উল্লেখ্য, নোবিপ্রবির ইন্টারন্যাশনাল কোলবোরেশন ও কোঅপারেশন সেন্টার-(আইসিসিসি)
বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর ও সম্পর্কোন্নয়নের কার্যক্রম হাতে
নিয়েছে। ইতোমধ্যে তুরষ্কে ইরাসমাসের মাধ্যমে ফুল ফান্ডেড সাপোর্টে শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিনিময়
জাপান সহ উন্নত দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সফলভাবে শিক্ষার্থী বিনিময়ের মতো কার্যক্রম
সম্পন্ন করেছে। আশা করা হচ্ছে আগামীতে প্রতি বছর ধারাবাহিকভাবে শিক্ষক-শিক্ষার্থী,
কর্মকর্তাগণ এশিয়া, ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন অংশিদারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে ছাত্র এবং
কর্মীদের বিনিময় করবে যা নোবিপ্রবিকে সত্যিকারের আন্তর্জাতিক শিক্ষায় অগ্রগামী করবে।