1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : জাতীয় অর্থনীতি : জাতীয় অর্থনীতি
বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ন

নোয়াখালীতে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে পল্লী চিকিৎসক নুর হোসেন পলাশ গ্রেপ্তার 

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ১১০ বার দেখা হয়েছে

গোলাম মোস্তফা বুলবুল জেলা প্রতিনিধি নোয়াাখালী: স্বামী নেই, ছোট চাকরি করে চালান সংসার। মেয়ে (১৮) কলেজশিক্ষার্থী। চিকিৎসাসেবা নিতে যাওয়া পল্লী চিকিৎসক অচেতন করে সেই কলেজছাত্রীকে করেন ধর্ষণ। তারপর দেখানো হয় ভয়, কাউকে বলে ফেললে হত্যার হুমকি। পরে বিষয়টি মা জানতে পেরে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে ইউএনওর কাছে হাজির হন। অবশেষে গ্রেপ্তার হলো সেই চিকিৎসক। রোববার (২ জুন) সিলগালা করা হয় ওই ফার্মেসিকে।

অভিযুক্ত নুর হোসেন পলাশ (৪২) চাটখিল পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্ব গোবিন্দপুরের গনি মিয়া সাব বাড়ির খোরশেদের ছেলে।

ভুক্তভোগী ওই তরুণী বলেন, গত ২৬ মে ক্লাস শেষে বাড়ি ফেরার পথে বিকেল ৪টার দিকে আমার কিছু মেডিকেল রিপোর্ট দেখার জন্য তার চেম্বারে ডেকে নেন নুর হোসেন পলাশ। চেম্বারে যাওয়ার পর আমার মাস্ক খুলে নাকের কাছে কিছু একটা ধরলে আমি কিছুটা অচেতন হয়ে যাই। তারপর চেম্বারের পেছনে আলাদা কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। বারবার ক্ষমা চেয়েও আমি রক্ষা পাইনি।

ওই তরুণী আরও বলেন, ধর্ষণ শেষে নুর হোসেন আমাকে ছুরি দেখিয়ে এই ঘটনা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। যে কারণে প্রথম কয়েক দিন কাউকে না বললেও একদিন আমার মায়ের কাছে ধর্ষণের ঘটনা চিরকুটে লিখে দিই। বাবা জীবিত না থাকায় এবং সামাজিকভাবে হেয় হওয়ার ভয়ে এই বিষয়ে এতদিন কোথাও কোনো অভিযোগ করিনি। পরে মা সহ নিজের সর্বনাশের বিচারের দাবিতে ইউএনও স্যারের কাছে যাই।নুর হোসেনের ফার্মেসি সিলগালা করা হয়।
ভুক্তভোগীর মা বলেন, আমার মেয়ে আমাকে চিরকুট লিখে তার সর্বনাশের কথা জানিয়েছে। সে সাহস পাইনি প্রথম দিকে। তাই মেয়েকে নিয়ে ইউএনও স্যারের কাছে হাজির হয়। আসলে আমি ছোট একটি চাকরি করে সংসার চালাই। যে আমার এই এতিম সন্তানকে এভাবে নির্যাতন করেছে, আমি তার ফাঁসি চাই।

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দীন বলেন, কলেজছাত্রী ও তার মা খুব ভয় পেয়ে আমার কাছে সাহায্য চাইতে আসে। আমি ঘটনা শুনে স্তব্ধ হয়ে যাই। তাৎক্ষণিক বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আকিব ওসমানের মাধ্যমে তার প্রতিষ্ঠানকে সিলগালা করে দিই। পরিবারটি অত্যন্ত নিরীহ। আশা করি তারা ন্যায়বিচার পাবে।

এ বিষয়ে চাটখিল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ঢাকা বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী বাদী হয়ে চাটখিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। গত সোমবার (৩ জুন) সকালে আসামিকে বিচারিক আদালতে প্রেরণ করা হবে। এ ছাড়া ভুক্তভোগীকে পরীক্ষা-নিরিক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

এই বিভাগের আরো সংবাদ
© ২০২০ দৈনিক জাতীয় অর্থনীতি