গোলাম মোস্তফা বুলবুল নোয়াখালী প্রতিনিধি: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকে কেন্দ্র করে প্রিসাইডিং অফিসারের ওপর হামলা ও ব্যালট ছিনতাই চেষ্টাকালে পুলিশের গুলিতে ৬ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় বুধবার (২৯ মে) রাতে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার রাতে নোয়াখালীর সদর উপজেলার ৯ নং কালাদরাপ ইউনিয়নের উত্তর শুল্লুকিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আহতরা হলেন, উপজেলার কালাদরাপ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শুল্লুকিয়া গ্রামের মোহাম্মদ উল্যার ছেলে আব্দুল মান্নান (৫৫), শাহ আলমের ছেলে মামুনুর রশিদ (২৬) ও মো. মান্না (২৫) আবুল কালামের ছেলে মো.কবির (৩৫), একই গ্রামের রফিক উল্যার ছেলে মো. জামাল (৫০) ও আবুল কালামের ছেলে মহিন উদ্দিন (৩৫)।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শুল্লুকিয়া গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, কেন্দ্রে ভোট গণনা শেষে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন জেহানকে (আনারস প্রতীক) বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। এ নিয়ে পরাজিত গন্ডগোল শুরু হয়। মোটর সাইকেল প্রতীকের দুই কর্মীকে আটক করে রাখা হয়। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে আনারসের সমর্থকদের সঙ্গে মোটর সাইকেলের সমর্থকদের সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে পুলিশ গুলি ছোঁড়ে।এতে ৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়।এ বিষয়ে জানতে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সামসুদ্দিন জেহানকে মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি।
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, রাতে গুলিবিদ্ধ ৬ জনকে হাসপাতালে আনা হলে তাদেরকে চিকিৎসাসেবা দিয়ে এক নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।
হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিমের বক্তব্য নিতে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
নোয়াখালী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, ভোট গণনা চলাকালীন এক প্রার্থীর অনুসারীরা উত্তেজিত হয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও ভোট বাক্স লুটের চেষ্টা করে। এ সময় তারা প্রিসাইডিং অফিসারের ওপর হামলা করে। প্রিসাইডিং অফিসারের নির্দেশে পুলিশ গুলি ও লাঠিপেটা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ৬ জন আহত হয়েছেন। হামলার শিকার প্রিসাইডিং অফিসার বাদী হয়ে বুধবার রাতে মামলা দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আহতদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে।