মো মহসিন,উপজেলা সংবাদদাতা, বেগমগঞ্জ, নোয়াখালী: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার ৪ নং বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিবের) বিরুদ্ধে অপপ্রচারের অভিযোগ উঠেছে । সোমবার ২৩ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) কামরুল হাছান ৪ নং বারগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ শাহ পরানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ দাখিল করেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ শাহ পরান দীর্ঘ ১০ বছর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের সেবা প্রত্যাশীদের কে নানাভাবে হয়রানি করে আসছে।গত ৫ ই আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ফলে সরকার পতন হলে পালিয়ে যায় ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ শাহ পরান। সম্প্রতি ১৭ আগষ্ট সে ফিরে আসলে ভুক্তভোগী উত্তেজিত জনতা তার অফিসে তালা লাগিয়ে দেয়।এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা কামরুল হাছানের বিরুদ্ধে এই ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে পত্রিকার খবর ছাপে বলে অভিযোগ করেন।
ইউপি প্রশাসনিক কর্মকর্তা তার অভিযোগে আরো উল্লেখ করেন গত ৩১ মে ২০২৪ সালে ইউপি ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা মোঃ শাহ পরানের একটি অন্যায় আবদার পূরণ না করায় সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে গালিগালাজ ও একপর্যায়ে চেয়ার নিয়ে তেড়ে মারতে আসে।উদ্যোক্তা মোঃ শাহ পরান আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় বরাবরের মতো অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাননি বলে জানান তিনি। এদিকে ইউপি সূত্রে জানা যায় গত ৩০ জানুয়ারি ২০২০ সালে তৎকালীন চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আনিসুর রহমান উদ্যোক্তা মোঃ শাহ পরানের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দাখিল করেন এবং একই ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল হাই ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ সালে তার বিরুদ্ধে নানারকম দুর্নীতি ও জন্ম নিবন্ধন, বিধবা ভাতা কার্ড করতে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু কোন অভিযোগেরই প্রতিকার পাননি বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা। সম্প্রতি মোঃ শাহ পরানকে অপসারণের জন্য গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন ইউনিয়নের ভুক্তভোগী জনতা ও সচেতন মহল। এ বিষয়ে অভিযুক্ত শাহপরানের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করেও তাকে পাওয়া যায়নি।