নোয়াখালীর ছাতার পাইয়া ইউনিয়নে ভূমিদস্যু সৈয়দ আহম্মদ দুলাল কর্তৃক আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে প্রতিপক্ষের ভূমিতে ভবন নির্মাণ করে ৩ পরিবারের চলাচলের পথ অবরুদ্ধ করছে। ভুক্তভোগী অসহায় পরিবারগুলো চলাচলের রাস্তা না পেয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। প্রতিকারের জন্য একাধিকবার বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও প্রতিকার মিলেনি পরিবারগুলোর। ঘটনাটি নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ছাতার পাইয়া ইউপির পাঁচতুপা মিঝি বাড়ীর।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগী রেহানা আক্তার জানান, নোয়াখালী অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পিটিশন মামলা নং- ৩২৯/২১ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত স্থীতিবস্থায় আদেশ প্রদান করেন। সেনবাগ থানা পুলিশ নালিশী ভূমিতে স্থীতিবস্থায় বজায় রাখার জন্য বিজ্ঞ আদালতের আদেশ যথারীতি জারী করেন। তিনি আরও জানান, তাদের চলাচলের জন্য খরিদসূত্রে ছাতার পাইয়া মৌজাধীন বিএস ৪৯৪নং খতিয়ানভুক্ত ২১২ দাগ ও ৩২২৩নং খতিয়ানভুক্ত ২১৬ দাগে সাড়ে ৪ শতক ভূমি জবর দখল করে প্রতিপক্ষ একই বাড়ীর মৃত জয়নাল আবেদিনের ছেলে ভূমিদস্যু সৈয়দ আহম্মদ দুলাল। সে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণের পাঁয়তারা করলে ভুক্তভোগী রেহানা আক্তার গং সেনবাগ থানায় একাধিক অভিযোগ করার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে সত্যতা পায়। উভয় পক্ষ একই বাড়ীর হওয়ায় সেনবাগ থানায় স্থানীয় গণ্যমান্যদের উপস্থিতি একাধিকবার সালিশ বৈঠক হয়। সালিশী সিদ্ধান্ত মোতাবেক প্রতিপক্ষ সৈয়দ আহম্মদ দুলালকে ভূমি ছেড়ে দেওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত হলেও সে এগুলোর তোয়াক্কা করেনি। অবশেষে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী’তে পিটিশন মামলা নং- ৩২৯/২১ দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত বিরোধীয় ভূমিতে স্থীতিবস্থায় আদেশ দেন। কিন্তু অজ্ঞাত শক্তির প্রলোভনে ও কৌশলে ভূমিদস্যু সৈয়দ আহম্মদ দুলাল আদালতের নির্দেশ অমান্য করে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যা”েছন। প্রতিপক্ষের পলাশ বাঁধা দিতে গেলে তার উপরও ভাড়াটে সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়।
সরেজমিনে গেলে ভুক্তভোগী রেহানা আক্তারের ছেলে প্রবাসী মিজানুর রহমান জানান, আমার বাবা ও আমরা দুই ভাইসহ অন্যান্য পক্ষরা বাড়ীতে না থাকার সুযোগে তারা আমাদের খরিদা ও দখলীয় ভূমি এলাকার কিছু ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে জবরদখল করে ভবনের কাজ করছে। আমরা সেনবাগ থানা, নোয়াখালী পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট নোয়াখালী বরাবরে মামলা দায়ের করেছি। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক নিষেধাজ্ঞা জারী করলেও প্রতিপক্ষ এর তোয়াক্কা না করে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আমরা এর সুষ্ঠ বিচারের দাবী করছি।