নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হওয়ার ক্ষোভে নোয়াখালী-৫ আসনে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছিলেন মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী। তার কারণে ২০০১ সালের সেই নির্বাচনে দলের হেভিওয়েট প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের ভরাডুবি হয়েছিল। জিতেছিলেন বিএনপির প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। সেই একরামুল করিম চৌধুরী ২০০৮ সালের নির্বাচনে ফেরেন দোর্দণ্ড প্রতাপে। নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে বিজয়ী হওয়ার পর অর্থবিত্ত থেকে শুরু করে সবদিকেই তিনি ফুলেফেঁপে একাকার। ১০ বছরের ব্যবধানে তার যেমন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে রাজনৈতিক দাপট। তার আধিপত্যের কাছে জেলার তিনটি উপজেলা একরকম জিম্মি। জনসমাবেশে প্রকাশ্যে দলীয় এমপির বিরুদ্ধে আবদুল কাদের মির্জা এ ধরনের অভিযোগের সূত্র ধরে তথ্যানুসন্ধানে নামে যুগান্তর।
নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া তিনটি হলফনামা বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ১০ বছরের ব্যবধানে একরামুল করিম চৌধুরীর শুধু নগদ টাকার পরিমাণই বেড়েছে ১২৪ গুণ। গড়েছেন স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির পাহাড়।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ভাই বসুরহাট পৌরসভার চেয়ারম্যান আবদুল কাদের মির্জা বেশ কিছু দিন ধরে প্রকাশ্যেই বলে আসছেন, স্থানীয় উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারির কমিশন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ বিভিন্ন খাত থেকে তিনি অবৈধ উপায়ে কামিয়েছেন অঢেল অর্থ।
সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী অবশ্য যুগান্তরকে বলেছেন, ‘ই-টেন্ডারের এই যুগে টেন্ডারবাজির কোনো সুযোগ নেই। আর চাকরি বাণিজ্যের একটি অভিযোগ প্রমাণ করতে পারলে আমি এমপিশিপ ছেড়ে দেব। এমনিতেই আমি পয়সার মালিক। আমি চিটাগাং পোর্টের বার্থ অপারেটর। আমার ১০-১২টা জাহাজ আছে। রাজনীতি করা পয়সা আমার জন্য হারাম।’ এক পর্যায়ে হলফনামার দেওয়া তথ্যে সম্পদের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে এগুলো ব্যবসার অর্থ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন খুব ক্রিটিক্যাল সময় যাচ্ছে। আমি একজন এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হয়েও আপনার কাছে হাতজোড় করে অনুরোধ করছি রিপোর্টটি করবেন না।’
শুধু ধন-সম্পত্তি নয়, একরামুলের পরিবারের সদস্যদের রাজনৈতিক উত্থানে বিস্মিত এলাকাবাসী। তাদের মতে, দলের সাধারণ সম্পাদকের পরিবারকে টেক্কা দিয়েই নিজের পরিবারের সদস্যদের ক্ষমতার চেয়ারে বসিয়েছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী। স্ত্রীকে বানিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাগ্নেকে বানিয়েছেন মেয়র। চাচাতো ভাইকে বসিয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে। ছেলেকেও স্থান দিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে। প্রসঙ্গত, এই একরামুল করিম চৌধুরীর বেয়াই ঢাকার আলোচিত সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম। তার মেয়ে জামাই ঢাকা সিটি করপোরেশনের বহিষ্কৃত ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইরফান সেলিম।
একরামের অর্থবিত্ত : ২০০৮ সালে নির্বাচন কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামার তথ্যমতে, তখন একরামুল করিম চৌধুরীর কাছে নগদ ছিল মাত্র ৩ লাখ ৩৭ হাজার ৩০৯ টাকা। অথচ এক দশকের ব্যবধানে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কমিশনে জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি উল্লেখ করেন, তার কাছে শুধু বৈদেশিক মুদ্রাই রয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ ৬২ হাজার ২৮২ টাকার সমপরিমাণ। অস্থায়ী সম্পত্তি হিসাবে নগদ টাকার স্থায়ী আমানত আছে ৪ কোটি ২০ লাখ ৯৫ হাজার ২৪২ টাকা। ১০ বছরের ব্যবধানে তার শুধু নগদ টাকার পরিমাণ বেড়েছে ১২৪ গুন।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম ১০ বছর আগে কৃষি ও ব্যবসা খাতের বৃত্তে বন্দি থাকলেও এখন তিনি বাড়ি ভাড়া ও ব্যাংক খাতেও আয় দেখিয়েছেন। একই সঙ্গে তার শিপিং এজেন্ট, বার্থ অপারেটর ও ট্রান্সপোর্ট ব্যবসাও রয়েছে। হলফনামার তথ্য বলছে, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে তার ৫টি বাড়ি রয়েছে। যার দাম ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ টাকা। তার বর্তমান স্থাবর সম্পত্তির দাম ১০ কোটি ৭১ লাখ ৬৬ হাজার ৫১৭ টাকা। ২০০৮ সালের হলফনামায় তার এমন সম্পদের পরিমাণ ছিল মাত্র ১৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকার। ১০ বছরের ব্যবধানে তার সম্পদের পরিমাণ ফুলেফেঁপে উঠলেও কমেছে তার ব্যাংক ঋণের পরিমাণ। ২০১৮ সালের হলফনামায় তার ব্যাংক ঋণ ৪ কোটি ১০ লাখ ৭ হাজার ৫৩৯ টাকা উল্লেখ করা হয়েছে। আর ২০০৮ সালে তার হলফনামায় ব্যাংক ঋণের পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৩৯ হাজার ৭২০ টাকা। এছাড়া ২০১৮ সালে দেওয়া হলফনামা অনুযায়ী একরামুলের অস্থাবর সম্পদের মূল্য ১ কোটি ৬০ লাখ ৯০ হাজার টাকা।
রাজনীতিতে একরাম পরিবারের দাপট : স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ’৭৩-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নৌকার প্রার্থী আবদুুল মালেক উকিলের বিরুদ্ধে নির্বাচনে অংশ নেন একরামুলের বাবা ইদ্রিস মিয়া। বাবার পক্ষে নৌকার বিরুদ্ধে ভোট করা একরামুল স্বরূপে ফেরেন ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। তিনি নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নোয়াখালী-৫ আসনে গিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঘড়ি প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেন। ওই নির্বাচনে সেখানে দলের মনোনয়ন পেয়েছিলেন ওবায়দুল কাদের। কিন্তু বিএনপির শক্তিশালী প্রার্থী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদের কাছে তাদের ভরাডুবি হয়। তখন হামলা, ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগে একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারীদের বিরুদ্ধে অন্তত এক ডজন মামলা করেন ওবায়দুল কাদেরের অনুসারীরা।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল মামলার কথা স্বীকার করে যুগান্তরকে বলেন, সে সময় দলের প্রার্থী ওবায়দুল কাদেরের পক্ষে কাজ করার জন্য অনেক নির্যাতন সইতে হয়েছে। তখন স্বতন্ত্র প্রার্থী একরামুল করিম চৌধুরীর অনুসারীরা তাদের ওপর হামলাও চালায়। প্রসঙ্গত, এই বাদলই এখন একরামুল করিমের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক কর্মী।
স্থানীয়রা আরও জানান, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালী-৪ আসন থেকে দলের মনোনয়ন পেয়ে আওয়ামী লীগের স্থানীয় রাজনীতিতে দ্রুতগতিতে প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেন একরামুল করিম। এরপরও দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দোর্দণ্ড প্রতাপশালী হয়ে ওঠেন। এরই মধ্যে তিনি তার স্ত্রী কামরুন্নাহার শিউলিকে কবিরহাট উপজেলা চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী করে আনেন। তার ভাগ্নে কবিরহাট পৌর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানকে দলে এনে করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি এখন কবিরহাট পৌরসভার মেয়র। একরামুলের চাচাতো ভাই নূরুল আমিন রুমিকে করা হয় কবিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর ছেলে শাবাব চৌধুরীকে জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক পদ দেওয়া হয়। এই ছেলের বেপরোয়া গতির গাড়িচাপাতেই ঢাকার মহাখালীতে একজন নিরীহ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল।
জিম্মি ওবায়দুল কাদের : কোম্পানীগঞ্জের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১৯৯১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে অদ্যাবধি নোয়াখালী-৫ আসন থেকে নির্বাচন করে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এই আসনের কবির হাটে একরামুলের বাড়ি। সেই সুবাদে সেখানে প্রভাব বিস্তার করেন একরামুল করিম। ওই আসনের ভোটের রাজনীতিতে একরাম এতটাই প্রভাব রাখেন যে তাকে ‘ম্যানেজ’ করেই চলতে হয় দলীয় সাধারণ সম্পাদককে। আবার স্থানীয় ভোটের মাঠে একরামুলের চেয়ে বেশি প্রভাব রাখেন আবদুল কাদের মির্জা। তাই ভোটের মাঠের হিসাব ঠিক রাখতে ভাইকেও কিছু বলতে পারেন না। সব মিলিয়ে মির্জা-একরামুলের এই বাহাসের বাইরে আছেন ওবায়দুল কাদের। কারণ তার এখন ‘শ্যাম রাখি না কুল রাখি’ অবস্থা।
৫ কোটি টাকার টেন্ডার নিয়ে দ্বন্দ্ব : স্থানীয় প্রশাসন ও এলাকাবাসীর সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, জানুয়ারি মাসে কোম্পানীগঞ্জ সোনাগাজী সীমান্তে ছোট ফেনী নদীর শাখা খাল খননে ৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকা বরাদ্দে পানি উন্নয়ন বোর্ডের একটি কাজ মোটা অঙ্কের টাকা কমিশনের চুক্তিতে লক্ষ্মীপুরের এক ঠিকাদারকে পাইয়ে দেওয়ার চুক্তি করে আবদুল কাদের মির্জার ভাগনে রাহাত ওরফে ব্যাংকার রাহাত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওই ঠিকাদারকে কাজ না দিয়ে এমপি একরামুল করিমের সঙ্গে আঁতাত করে তার পছন্দের সোনাগাজীর এক চেয়ারম্যানকে কাজটি পাইয়ে দিয়ে একরামুল ও রাহাত কমিশন ভাগাভাগি করেন। ওই চেয়ারম্যান ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর ঘনিষ্ঠ। বিষয়টি জানতে পেরে ব্যাপক ক্ষিপ্ত হন আবদুল কাদের মির্জা। এরপর থেকেই তিনি একরামুল করিম ও নিজাম হাজারীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে টেন্ডারবাজির অভিযোগ তোলেন। অভিযোগ আছে, স্থানীয় উন্নয়ন কাজের ঠিকাদারির কমিশন, নিয়োগ বাণিজ্যসহ নানা খাত থেকে কামানো এই টাকার একাংশ উল্লেখ করা হয়েছে কমিশনে জমা দেওয়া তার হলফনামায়। অবৈধ পথে এমন অর্থ উপার্জনের কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি প্রকাশ্যেই তুলেছেন আবদুল কাদের মির্জা। যদিও এসব ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে নাকচ করে দিয়েছেন এমপি একরামুল করিম।
এমপির টেন্ডার ও চাঁদাবাজ সিন্ডিকেট : সংশ্লিষ্ট দপ্তরের একাধিক সূত্র ও পুলিশের তথ্যমতে, পানি উন্নয়ন বোর্ড, স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, এলজিইডি ও পিডব্লিউডির টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্য একরামুল করিমের রয়েছে নিজস্ব বাহিনী। এই বাহিনীর নেতৃত্ব দেন শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মাহমুদুর রহমান জাবেদ। তবে টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের জন্য আগের মতো অস্ত্রবাজি বা গুন্ডা বাহিনী দিয়ে হুমকি-ধমকির দরকার হয় না। ই-টেন্ডারের এই যুগে অফিস ম্যানেজ করে কারসাজির মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী ঠিকাদারদের ননরেসপনসিভ দেখিয়ে পছন্দের ঠিকাদারদের কাজ দিতে কলকাঠি নিয়ন্ত্রণ করেন জাবেদ। এই অপকৌশলের বাইরে কিছু ঠিকাদার শিডিউল কিনলেও তাদের ফোনে ড্রপ করতে নিষেধ করা হয়। যে কোনো কাজ দেওয়ার বিনিময়ে দলীয় ফান্ডের কথা বলে ঠিকাদারের কাছ থেকে নেওয়া হয় ৬ পার্সেন্ট টাকা। আর নিজেদের নামে কাজ বের করে বিক্রি করলে জাবেদ ও পিন্টু নেন আরও ১০ পার্সেন্ট। মোট ১৬ পার্সেন্ট কমিশনের এই টাকার একটি বড় অংশ চলে যায় এমপি একরামুল করিমের কাছে। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণের হোতা এই জাবেদকে কথিত মামা বাহিনীর প্রধানও বলা হয়। মামা বাহিনীতে রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা। টেন্ডারবাজির পাশাপাশি শহরে চলাচলকারী ৪ হাজার সিএনজি থেকে চাঁদাবাজিও নিয়ন্ত্রণ করে পিন্টু-জাবেদ বাহিনী। এ খাত থেকে মাসে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা আদায় করা হয়। সিএনজি চালকরাই বলেন, এই টাকার ভাগও এমপি একরামুল করিমের কাছে যায়।
চাঁদাবাজ ও টেন্ডারবাজ সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ নাকচ করে মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘এলাকায় এনএসআই, ডিজিএফআই আছে। আমার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে তারা সেটা যাচাই করবে।’ বিএনপি থেকে ভাগ্নেকে এনে আওয়ামী লীগে পদ দিয়ে কবিরহাট পৌরসভার মেয়র বানানোর বিষয়ে একরামুল কবির বলেন, ‘এটা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সেক্রেটারির এলাকা। উনি কাকে কোথায় নেবেন এটা উনার ব্যাপার। ওটা আমার ব্যাপার না।’ চাচাতো ভাইকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘উপজেলাটা আমার নিজস্ব এলাকা। কবিরহাট উপজেলার মানুষ যেটা চায় রাজনীতি করলে আমি তার বাইরে যেতে পারি না।’
এমপির হয়ে টেন্ডারবাজি নিয়ন্ত্রণের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু যুগান্তরকে বলেন, ‘এক সময় আমরা টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতাম। এটা সত্য। কিন্তু এখন এরকম কোনো সুযোগ নেই। পুরনো কথা কেউ বলে বেড়ালে তো হবে না।’ সিএনজি থেকে চাঁদাবাজির বিষয় অস্বীকার করে তিনি বলেন, ‘আমি সিএনজি চালক সমিতিরও সভাপতি। কোনো দিন চালকদের পয়সায় এক কাপ চা পর্যন্ত খাই না। যেটা তোলা হয় ওটা ওদের কল্যাণেই ব্যয় হয়। আর জাবেদ সাহেব এ বিষয়ের আগেপিছে নেই। তবে সিএনজি চালকদের পৌরসভার একটি টোল দিতে হয়।’
বুধবার একাধিকবার মাহমুদুর রহমান জাবেদের মোবাইল ফোনে কল করা হলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সূত্র : যুগান্তর