নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ৭ নং একলাসপুর ইউনিয়নের মধ্য একলাসপুর গ্রামের ০৩ নং ওয়ার্ডে তাজ পোলট্রি ফিড নামক ফ্যাক্টরি স্থাপনে জনগণের স্বাভাবিক জীবন যাপন ব্যাহত হচ্ছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিদিন ঢাকা চট্টগ্রাম থেকে বড় কার্গো ভ্যানে করে হাঁস, মুরগি, কবুতর ও অন্যান্য পশু পাখির খাদ্য তৈরি সামগ্রীর কাঁচামাল আনায়ন ও কাঁচামালে রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করে সিদ্ধ করে শুকিয়ে পুনরায় ঢাকা চট্টগ্রামে বিভিন্ন কারখানায় ও ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে বিক্রয় করা হয় বলে জানা যায়। এসব কাঁচামাল সিদ্ধ করতে ও শুকাতে ক্ষতিকর রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয়। যার ফলে প্রতিনিয়ত আশপাশের ফসলি জমি, প্রাণীকূল ও জীব বৈচিত্র হুমকির সম্মুখীন হচ্ছে। এছাড়া মানুষের দেহে নানান চর্ম রোগ দেখা দিচ্ছে। ফ্যাক্টরিতে ব্যবহৃত কলকারখানার ভারী যন্ত্রপাতি হতে সৃষ্ট শব্দ দূষণে আশেপাশের বাড়িগুলিতে মানুষের বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। তাছাড়া প্রচুর পরিমাণে দুর্গন্ধ সৃষ্টি ও মশা মাছির উপদ্রব বেড়েই চলছে। এলাকার মানুষ খুবই অতিষ্ঠ ও মানবেতর জীবন যাপন করছে। বর্তমানে চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এলাকার মানুষ ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে পড়েছে। কার্গো ভ্যান গাড়ি চলাচলের কারনে সংকীর্ণ রাস্তার দরুণ অন্যান্য যানবাহন ও পথচারী চলাচলের সুযোগ থাকে না। যাহা রীতিমতো ভয়াবহ ও খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। এই ধরনের গাড়ি চলাচলের কারনে রাস্তাঘাট অতি দ্রুত খাদা খন্দের সৃষ্টি হয়। যা এলাকা মানুষের ভোগান্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া এলাকার শিশু, বৃদ্ধ, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা পড়ুয়া শিক্ষার্থী ও সর্বসাধারণের চলাচলে বিঘ্ন ঘটায় ও দুর্ঘটনার আশংকা রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, এখানে স্বল্প পরিসরে মালামাল রাখার গোডাউন স্থাপন করার কথা ছিল। যাহা বর্তমানে ফ্যাক্টরিতে রূপান্তরিত করা হয়েছে। এছাড়া ফ্যাক্টরির উপর ৩৩০০০ভোল্টের বৈদ্যুতিক সংযোগ রয়েছে। যাহা রীতিমতো বিপদজনক ও প্রাণহানির আশংকা রহিয়াছে। উক্ত ফ্যাক্টরিতে ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্যাস সংযোগ স্থাপন করায় আশেপাশের বাড়িগুলিতে ঠিকমতো গ্যাস সরবরাহ হচ্ছে না বলে জানা যায়। এখানে নেই কোন ধরনের অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র রহিয়াছে কিনা সন্দিহান। সরজমিনে তদন্ত করলে প্রকৃত সত্যতা উৎঘাটন করা সম্ভব হবে। এই ফ্যাক্টরি অন্যত্র স্থাপন করতে বা বন্ধ করতে জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা একান্ত কাম্য।