তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ভোট বর্জনের কথা বলছে, কিন্তু সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ সৃষ্টি হয়েছে।
এই আমেজ আর দেশে আওয়ামী লীগ সরকারের চলমান উন্নয়ন দেখে এখন বিএনপির অনেক সমর্থকরাও আমাদের ভোটের মিছিলের পেছনে পেছনে হাঁটছে। ৭ তারিখে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য তারাও কেন্দ্রে যাবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাট বাজার চত্বরে নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলার রাজানগর ও ইসলামপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যৌথ আয়োজনে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাজানগর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু ছৈয়দ তালুকদার।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ২০০৮ সালে ভোটের ক্যাম্পেইন করার সময় প্যান্টের অর্ধেক তুলে মোটরসাইকেলে চড়ে, খাল পেরিয়ে কাঁদা মাড়িয়ে অনেক কষ্টে যেতে হতো, আর এখন সেই অবস্থা নেই। এখন রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে যোগাযোগের অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। এসব সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার যাদুকরী নেতৃত্বের কারণে।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে নির্বাচিত হবার পর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন হবে। আমি দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার শেষ প্রান্তের ছেলে। অনেকে বলেছিল উন্নয়ন সব ওইদিকেই হবে।
কিন্তু নির্বাচিত হয়ে প্রথমেই মরিয়মনগর থেকে রাণীরহাট পর্যন্ত ডিসি সড়কের উন্নয়ন কাজ করেছি। বগাবিলি ব্রীজ প্রথমেই হয়েছে। এখানে বড় বড় বিএনপি নেতারা ছিলো, এখনো আছে। তাদের বাড়ির সামনের রাস্তা প্রথমেই পাকা হয়েছে। এরপর দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়ন করেছি। অথচ আমার বাড়ির সামনের রাস্তাটাও এখনো ২০ বছর আগের মতোই রয়ে গেছে।
জনসভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টনের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা পৌরসভার মেয়র শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, উত্তরজেলা কৃষক লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, সাবেক চেয়ারম্যান কাজী নুরুল আজিম, মোরশেদ মাহমুদ, কামাল উদ্দিন চৌধুরী, সিরাজ উদ্দিন চৌধুরী, জামাল উদ্দিন মোস্তফা জাহাঙ্গীর, ইউসুফ মাতব্বর, ছাদেকুন নূর চৌধুরী টিপু প্রমুখ।