মহামারি করোনার মধ্যেও চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-মার্চ) ২ হাজার ৮৯৩ কোটি ৮৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় দেশীয় মুদ্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার ৯৭৫ কোটি টাকার সমান।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) আজ মঙ্গলবার রপ্তানি আয়ের এই হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করেছে। এতে দেখা যায়, গত মার্চে ৩০৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের মার্চের চেয়ে ১২ দশমিক ৫৯ শতাংশ বেশি। গত বছরের মার্চে ২৭৩ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। অবশ্য গত মাসে ভালো হলেও অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানি দশমিক ১২ শতাংশ কমে গেছে।
ইপিবির তথ্যানুযায়ী, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে সামগ্রিক পণ্য রপ্তানিতে তৈরি পোশাকশিল্পের অবদান ৮১ দশমিক ১৬ শতাংশ। এই সময়ে ২ হাজার ৩৪৯ কোটি ডলারের পোশাক রপ্তানি হলেও গত বছরের প্রথম ৯ মাসের চেয়ে আড়াই শতাংশ কম। ওভেন পোশাকের রপ্তানি প্রায় ১১ শতাংশের মতো কমেছে। নিট পোশাকের বেড়েছে ৬ শতাংশের কাছাকাছি।
ইপিবি জানিয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৯৫ কোটি ডলারের পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ২২ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। পাটপণ্যের মধ্যে পাটের সুতা ও বস্তার রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ২৫ ও ২৩ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে ৬৮ কোটি ডলারের চামড়া ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে দশমিক ৫৩ শতাংশ কম।
মাঝে করোনার কারণে কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্যের রপ্তানি কমলেও আবার গতি ফিরেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে ৭৪ কোটি ডলারের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানি হয়েছে। এই আয় গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩ দশমিক ৪৩ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া হিমায়িত খাদ্যের রপ্তানি ৮ দশমিক ৬৬ শতাংশ কমে গেছে। রপ্তানি হয়েছে ৩৬ কোটি ৭৭ লাখ ডলারের হিমায়িত খাদ্য।